নাগোর্নো-কারাবাখে জাতিসংঘ মিশন চাইছে আর্মেনিয়া

নাগর্নো-কারাবাখে মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য জাতিসংঘ মিশনের একটি দলকে অবিলম্বে মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে আর্মেনিয়া সরকার। তারা বলছে, এতে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির অধীনে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে সহায়তা পৌঁছাতে পারবে।

আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরারাত মিরজোয়ান জাতিসংঘে শনিবার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মানবাধিকার, মানবিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে নাগর্নো-কারাবাখে জাতিসংঘের একটি আন্তঃসংস্থা মিশনকে অবিলম্বে মোতায়েন করা।’

অন্যদিকে আজারবাইজানীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেহুন বায়রামভ জাতিসংঘে বলেন, ‘সংঘাত-পরবর্তী শান্তি স্থাপন, পুনঃএকত্রীকরণ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো আমরা।’

মঙ্গলবার নাগর্নো-কারাবাখে আজারবাইজানের সেনা অভিযানের ২৪ ঘণ্টার মাথায় রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণ করে আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নাগর্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অস্ত্র জমা দেওয়াও শুরু করেছে।

আজারবাইজানের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কারাবাখ। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে একটি যুদ্ধের পর থেকে বিচ্ছিন্ন প্রশাসন দ্বারা পরিচালিত হয়েছে অঞ্চলটি।

আর্মেনিয়ানদের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া আজারবাইজান বলছে, নাগর্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা চাইলেই অন্যত্র চলে যেতে পারে। এ বিষয়ে তারা স্বাধীন।

সূত্র: রয়টার্স