Gender Discrimination: নিম্ন আদালতের রায়ে লিঙ্গবৈষম্য, ডিভোর্সের নির্দেশ খারিজ করল হাইকোর্ট

নিম্ন আদালতকে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক মানসিকতা ত্যাগ করার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর নিজের নামে থাকা সম্পত্তি স্বামীকে না জানিয়ে বিক্রি করেছিলেন স্ত্রী। এর জন্য স্বামীর প্রতি স্ত্রীর নিষ্ঠুরতা প্রমাণ হয় না, বলল হাইকোর্ট। অথচ এই কারণেই, স্বামীর পক্ষে রায় দিয়ে ডিভোর্সের নির্দেশ দেয় নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত।

বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে নিম্ন আদালতকে বলে, সম্পত্তি যদি স্বামীর নাম থাকত আর স্বামী যদি সেই সম্পত্তি বিক্রি করে দিতেন তবে আদালত একই নির্দেশ দিত। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে এই ধরনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসায় পরামর্শ দেয় উচ্চ আদালত। আদালত বলে, নারীর উপর পুরুষের অধিপত্য আজকের সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে বিয়ে হয় দুজনের। বিয়ের পর স্ত্রীর নামে দুর্গাপুরে একটি জমি কেনেন স্বামী। তবে কিছুদিনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। স্বামীকে না জানিয়ে কিছুদিনের মধ্যে স্ত্রী সেই জমি বিক্রি করে দেন।

এর পর ব্যারাকপুর আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন স্বামী। আদালতে তিনি বলেন, বিয়ের ছ’মাসের মধ্যেই স্ত্রী বাড়িতে আশান্তি শুরু করেন। তাঁর নামে কেনা জমিও বিক্রি করেছেন। মামলায় আদালত বলেন, স্বামীকে না জানিয়ে স্ত্রীর জমি বিক্রির স্বামীর প্রতি স্ত্রীর নিষ্ঠুরতা। এই যুক্তিতেই বিচ্ছেদ দুজনের বিচ্ছেদের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত।

(পড়তে পারেন। বাইক ট্যাক্সির বাণিজ্যিক লাইসেন্স দেওয়া শুরু, কত খরচ পড়ছে?)

নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্ত্রী। সেই মামলাতেই বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ নিম্ন আদালতকে পরামর্শ দিয়েছে, স্ত্রীর জমি বিক্রিকে যে ভাবে স্বামীর প্রতি নিষ্ঠুরতা বলে ধরা হয়েছে, তা অযৌক্তিক এবং কষ্টকল্পনা।

একই সঙ্গে অসুখী দাম্পত্যের যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের বলে, যে দম্পতি বিয়ের দু’বছরের মধ্যে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন, তাঁরা বিয়ের পর থেকে অসুখী এটা বলা যায় না। স্বামী দাবি করেন স্ত্রী সংসারে থাকতে চান না। এই দাবিও হাইকোর্টে মেনে নেয়নি। আদালত বলে, স্বামীই চান না স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতে। হাইকোর্টের বেঞ্চ ২০১৪ সালের ব্যারাকপুর আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছে।