ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে বিনামূল্যে চিকিৎসা, ব্যবস্থা করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ডেঙ্গি হানা দিয়েছে। একসঙ্গে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮–৯ জন পড়ুয়া। শুধু তাই নয়, ডেঙ্গি আক্রমণের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খালি করার কথা ভাবনাচিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ। এমনকী প্রয়োজনে পড়ুয়াদের অনলাইনে ক্লাস করার কথাও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আর এই ডেঙ্গির জেরেই নড়েচড়ে বসল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করল কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের জেরে সদ্য মৃত্যু হয়েছে এক প্রথম বর্ষের ছাত্রের। তার জেরে চূড়ান্ত বদনাম হতে হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। হস্টেল আবাসিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে যারা থাকে তাদের জন্য স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, ১ অক্টোবর এবং ২ অক্টোবর ছুটির দিনে চিকিৎসকদের নিয়ে এই ব্যবস্থা করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বলে জানা গিয়েছে। বেসরকারি এক হাসপাতালের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সকলের স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তারপর ঠিক কী হবে?‌ এদিকে কয়েকদিন ধরেই ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে রাজ্যে। তার জেরে আক্রান্ত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পড়ুয়া। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক ছাত্রের মৃত্যুও হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের বেশি ছাত্র ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একাধিক পড়ুয়া হস্টেলে থাকে। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে বহু পড়ুয়াই হস্টেল ছেড়েছেন। আবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েই বাড়ি ফিরেছে বলে খবর। এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার সঙ্গে প্রায় ৭ জন পড়ুয়া এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন:‌ যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বেহাল, চাঁদা তুলে মেরামত করলেন শান্তিপুরের গ্রামবাসীরা

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে এসেছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি এখানে এসে ডেঙ্গি মশার লার্ভা দেখতে পান। আর নির্দেশ দেন পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নের। এই বিষয়ে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘‌বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮–৯ জন পড়ুয়া ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে অনলাইনে ক্লাস করা যেতে পারে। আমাদের মেডিক্যাল সুপারের প্রস্তাব, হস্টেলে পড়ুয়ারা না থাকলেই এখন ভাল। কারণ এখানে আমাদের পরিকাঠামো নেই। আমরা ভাবছি, ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি থেকেই অনলাইনে ক্লাস করতে পারে। সামনে পরীক্ষা আছে। তাই আবাসিকদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’