Dengue in Kolkata: ফ্ল্যাটের ওপর থেকেই ফেলা হচ্ছে ময়লা, আবর্জনার স্তুপ দেখে আবাসিকদের ধমক অতীনের

রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। জেলায় জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। তার মধ্যে পুরসভাগুলিতে সবচেয়ে বেশি ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি। কলকাতা পুরসভাতে ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ কলকাতা পুরসভার তরফে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে গত কয়েকদিন ধরে রাস্তায় নামতে দেখা যাচ্ছে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) মেয়র অতীন ঘোষকে। এবার ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে সিপিডব্লিউডির আবাসনের আবাসিকদের ধমক দিলেন ডেপুটি মেয়র। এর পাশাপাশি ৯৬ ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ডেপুটি মেয়রের নির্দেশে তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলেন পুরকর্মীরা।

আরও পড়ুন: বাড়ছে ডেঙ্গি, হাসপাতালে বেড সংরক্ষণ, হেল্পলাইন চালু করেছে KMC

এদিন পরিদর্শনে বেরিয়ে নিউ আলিপুরের কেন্দ্রীয় পূর্ত মন্ত্রকের আওতাধীন একটি আবাসনের অবস্থা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ হন মেয়র পারিষদ। তিনি জানতে পারে জানালা দিয়ে আবাসিকরা ফ্ল্যাটের উপর থেকে ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। যার ফলে সেখানে জমছে আবর্জনার স্তুপ। আর সেখানে বৃষ্টির জমা জল থেকে জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গি মশার লার্ভা। বাসিন্দাদের এরকম গা ছাড়া মনোভাব দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ হন ডেপুটি মেয়র। তিনি মাইকিং করে আবাসিকদের সতর্ক করেন। এরপরেই আবাসনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ২০টি গাড়ি পুরসভার কাছে চেয়েছেন। তার ভিত্তিতে গাড়ি পিছু ২ হাজার টাকা করে ভাড়া চেয়েছে পুরসভা। তাতে রাজি হয়েছেন আবাসন কর্তৃপক্ষ।

এর পাশাপাশি রিজেন্ট কলোনিতেও রাতের অন্ধকারে আবাসিকদের বিরুদ্ধে ময়লা ফেলার অভিযোগ উঠেছে। তাতেও বেজায় ক্ষুব্ধ ডেপুটি মেয়র। এদিন বিজয়গড়েও পরিদর্শনে যান ডেপুটি মেয়র। সেখানে ১/১৫৩ নম্বর বাড়ির তালা ভেঙে পুর স্বাস্থ্যকর্মীরা ভিতরে ঢোকেন। সেখানে অতীন ঘোষের সঙ্গে ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ। বাসিন্দারা জানিয়েছেন ওই বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরেই তালা বন্ধ রয়েছে। তারফলে সেখানে আবর্জনার স্তর জমেছে। এর আগে ওই বাড়িতে এসে ৪৯৬ এ ধারায় নোটিশ জারি করেছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু, তারপরেও কোন উত্তর না পাওয়ায় এদিন পুরকর্মীরা বাড়ির তালা ভেতরে ঢোকেন। জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির ৪২ টি জায়গায় থেকে ডেঙ্গি মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। ডেপুটি মেয়ের বলেন, এই বাড়ি থেকে এই এলাকায় ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। বাড়ির মালিকরা কোথায় থাকেন তা জানা নেই। তবে পরিষ্কারের জন্য যা খরচ হবে তা তাদের ট্যাক্সের যুক্ত করা হবে।