‘শ্রীলঙ্কা মানে মুরলী, মুরলী মানে শ্রীলঙ্কা’! বন্ধুত্বের গল্প শুনল শহর Sourav Ganguly On Muttiah Muralitharan

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শহর কলকাতায় ফের মুথাইয়া মুরলীধরন (Muttiah Muralitharan)। স্পিন জাদুকর একসময়ে প্রায়ই আসতেন কলকাতায়। তখন বাংলা ক্রিকেটের ভিশন টোয়েন্টি-টোয়েন্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি স্পিনার। তবে দেখতে গেলে কোভিডের পর এই প্রথম শহরে মুরলী। 

আরও পড়ুন:  ICC Cricket World Cup 2023: পাঁচ দেশ, পাঁচ ক্রিকেটারেই চোখ মুরলীর! কলকাতায় বসে বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী

এবার মুরলীর শহরে আসার কারণ একবারেই আলাদা। আগামী ৬ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে মুরলীর বায়োপিক। তারই প্রচারে বিভিন্ন শহরে ঘুরছেন তিনি। এবার কলকাতায় এলেন ৮০০ টেস্ট উইকেটের মালিক। মুরলীর বায়োপিকের নামও দেওয়া হয়েছে ‘৮০০’। বৃহস্পতিবার ধর্মতলার এক হোটেলে মুরলী ছাড়াও ছিলেন তাঁর বন্ধু ও ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এসেছিলেন পর্দার মুরলী মধুর মিত্তল ও ছবির পরিচালক এমএস শ্রীপথি। 

 ‘কলম্বো, ডাম্বুলা, ক্যান্ডি! শ্রীলঙ্কার যেখানে গেছি, শুধু মুরলীর থিম সং শুনেছি। আমার আর ওর কিন্তু এক সালে জন্ম। দেখতে গেলে আমি সব বয়সের মুরলীর বিরুদ্ধে খেলেছি। মুরলীকে খেলা খুবই কঠিন ছিল। ১৯৯৭ সালে প্রথম আমি শ্রীলঙ্কায় গেছিলাম। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল সিরিজে ভালো ফল করার জন্য। ওরা এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিল আমাদের মুরলী আছে। আমি শুধু বুঝি মুরলী মানে শ্রীলঙ্কা আর শ্রীলঙ্কা মানে মুরলী। অরবিন্দ ডিসিলভা, কুমার সঙ্গাকারা ও অর্জুনা রণতুঙ্গাকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, আমি মুরলীর মতো মানুষ দেখিনি, যেমনি ভদ্র, তেমনই নম্র। ওর বায়োপিক হচ্ছে এটা দারুণ খবর। আমি তো দেখতে যাবই। আমি ভীষণ খুশি।’  যেন এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যে মুরলীর বলে ব্যাট ঠেকাতে অনেকে দু’বার ভাবতেন, সেই মুরলীকে বলে বলে মাঠের বাইরে পাঠাতেন সৌরভ।

মুরলী আর চুপ করে থাকলেন না। হাসি মুখে নিজের স্তুতি শুনে যাওয়ার পর মুরলী বললেন, ‘আপনারা বলছেন, সৌরভ আমাকে ছয় মেরেছে। খেয়াল করে দেখুন ওয়ার্ন-সাকলিন, কাকে না ও ছয় মেরেছে। ও তো স্পিনের বিরুদ্ধে দারুণ খেলত। আমাদের সম্পর্ক তো শুধু খেলার নয়, আমি সৌরভ, অনিল (কুম্বলে) খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। ভারতীয় দলের শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন সৌরভ। একটা টালমাটাল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ভারতীয় দলকে কী দারুণ দলে পরিণত করেছিল তরুণদের নিয়ে। ও তো ধোনির কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছিল। শুধু তো ক্যাপ্টেন নয়। সবচেয়ে কম বয়সে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়েছিল। তাও বিসিসিআইয়ের। দু’তিন বছরে দারুণ কাজ করেছে ও।’ অনুষ্ঠানটা যে মুরলীর বায়োপিকের প্রচার ছিল না বন্ধুত্বের উদযাপন ছিল, তা ভুলিয়ে দিয়েছিলেন এই দুই ক্রিকেটার।

আরও পড়ুন:  Muttiah Muralitharan: বায়োপিকে সম্মতি ছিল না প্রথমে! রাজি হয়েছেন এই কারণে, কলকাতায় অকপট কিংবদন্তি

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)