MS Swaminathan: দেশের ‘সবুজ বিপ্লবের জনক’ এম এস স্বামীনাথনের জীবনাবসান, বয়স হয়েছিল ৯৮

প্রয়াত দেশের ‘সবুজ বিপ্লব’ এর জনক এম এস স্বামীনাথন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বৃহস্পতিবার চেন্নাইতে তিনি প্রয়াত হন। পরিবারে স্ত্রী মীনা ও তাঁর তিন কন্যা সৌম্য, নিত্যা, মধুরাদের থেকে বহু ক্রোশ দূরে না ফেরার দেশে আজ পাড়ি দিয়েছেন দেশের পরিবেশ সম্পর্কিত বিপ্লবের এই তাবড় ব্যক্তিত্ব। তাঁর প্রয়াণে স্বভাবতই শোকের ছায়া বিভিন্ন মহলে।

দেশে উচ্চফলনশীল ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বামীনাথনের অবদান অবিস্মরণীয়। যাতে দেশের কম আয়ের কৃষকরা বেশি উৎপাদন করতে পারেন, তার রাস্তা দেখিয়েছেন এই প্রথিতযশা বিজ্ঞানী। বিশ্বের প্রথম খাদ্য পুরস্কারের বিজেতা ছিলেন এম এস স্বামীনাথন। ১৯৮৭ সালে তিনি এই পুরস্কার জিতেছিলেন। চেন্নাইতে রয়েছে তাঁর নামাঙ্কিত, ‘ এম এস স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশন’। ১৯৭১ সালে তিনি ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও ১৯৮৬ সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ওয়ার্ল্ড সায়ান্স অ্যাওয়র্ডেও তিনি ভূষিত হন। এদিকে, এম এস স্বামীনাথনের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি শোকপ্রকাশ করে লেখেন, ‘ড. স্বামীনাথনের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। দেশের ইতিহাসে একটা কঠিন সময়ে তিনি কৃষির ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ করেছিলেন, যাতে দেশের কোটি কোটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তা পান।’

( ISRO On Gaganyan Update: চন্দ্রযানের সাফল্যের পরেই গগনযান নিয়ে আপডেট ইসরোর, পরের বছরই যাত্রা শুরু!)

১৯২৫ সালের ৭ অগস্ট তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কুম্ভকোনমে জন্মগ্রহণ করেন এম এস স্বামীনাথন। বাবা এমকে সাম্বাসিবন ছিলেন জেনারেল সার্জেন। কুম্ভকোনমের স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু তাঁর। ১৫ বছর বয়সে সকলকে চমকে দিয়ে তিনি বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার করেন সম্মানের সঙ্গে। ছোট থেকেই তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তিনি ছোট থেকে দেখেছিলেন, ফসলের দামের কমতি কীভাবে প্রভাব ফেলে চাষাবাদের উপর। এরপরই তিনি এমন উদ্ভাবনার দিকে এগিয়ে যান তাঁর গবেষণার ক্ষেত্রে, যা ভারতের কৃষিকাজ এ কৃষিজীবীদের বহু আর্থিক যন্ত্রণাকে লাঘব করে। দেশের সবুজ বিপ্লবের ক্ষেত্রে যা বড় দিক। দেশের খাদ্যসংকট মেটাতে তাঁর গবেষণা বড় ভূমিকা পালন করেছে।