Bihar caste survey: গান্ধীর জন্মদিনেই জাত সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করল বিহার,৬৩% অনগ্রসর, অত্যন্ত অনগ্রর

বহু প্রতীক্ষিত জাত সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করল বিহার। গান্ধীজির জন্মদিনে। দুটি ধাপে রাজ্য সরকার এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। প্রথম পর্বটি হয় ৭ থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে এবং দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় ১৫ এপ্রিল শেষ হয় অগস্টের প্রথম সপ্তাহে। ২০২৪-এ লোকসভা ভোটের আগে এই রিপোর্ট পেশ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে রাজনৈতিকমহল।

বিহারের মুখ্যসচিব আমীর সুহানি এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই জাত সমীক্ষার রিপোর্টটি পেশ করেন। তবে বিহারে এই জাত সমীক্ষা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। এমন কী বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়।

প্রতিবেদন অনুসারে রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ১২,৫৩,৫৩,২৮৮। যার মধ্যে ৬,৪১,৩১,৯৯২ জন পুরুষ এবং ৬,১১,৩১,৯৯২ জন মহিলা। রাজ্যে লিঙ্গ অনুপাত ১০০০:৯৫৩১। মোট ২,৮৩,৪৪,১০৭টি পরিবারের উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে।

(পড়তে পারেন। মহম্মদ ঘোরির সঙ্গে তুলনা মোদীর, বিতর্কিত মন্তব্য শিক্ষকের, ভাইরাল ভিডিয়ো) 

(পড়তে পারেন। রাজঘাটে ধরনায় বসল তৃণমূল কংগ্রেস, অহিংস পথেই লড়ার বার্তা অভিষেকের) 

সমীক্ষার ফল অনুসারে, অত্যন্ত অনগ্রসর জাতি (ইবিসি) জনসংখ্যার ৩৬.০১%, ওবিসি ২৭.১২%, সাধারণ শ্রেণিভুক্ত। সমীক্ষার আওতায় থাকা জনসংখ্যার ১৯.৬৫% তফসিলি জাতি এবং ১.৬৮% তফসিলি উপজাতি।

এছাড়া ওবিসির মধ্যে যাদব ১৪.২৬% , যার মধ্যে কুশওয়াহ এবং কুর্মি যথাক্রমে ৪.২৭% এবং ২.৮৭%।

সমীক্ষার প্রথম ধাপে বাড়ি চিহ্নিত করা এবং পরিবারের সদস্য ও তাদের প্রধানদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে জাত-সহ ১৭ দফা আর্থ-সামাজিক সূচকগুলির প্রফর্মা পূরণ করে এই সমীক্ষা হয়েছে। যার মধ্যে ছিল কর্মসংস্থান, শিক্ষা, বৈবাহিক অবস্থা, জমির মালিকানা এবং সম্পত্তির মালিকানা।

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একগুচ্ছ পিটিশন জমা পড়েছে। যে রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বিহার সরকাররে এই সমীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে এমনটা দেখিয়ে যদি নিম্ন আদালতে কোনও মামলা না থাকে তবে বিহার সরকারকে জাতি সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করা থেকে বিরত রাখা যায় না। আদালতের এই রায়ের পরই গান্ধীর জন্মদিনে জাত সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করল বিহার সরকার।