CM direction on dengue: ডেঙ্গিতে প্রাণহানি বন্ধ করতে দিনরাত ভুলে পরিশ্রম করুন, সচিবদের নির্দেশ মমতার

রাজ্যে ভয়ঙ্করভাবে বাড়ছে ডেঙ্গি। প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। বর্তমানে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতে। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতেও ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। পুজোর আগে ডেঙ্গি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও এব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেঙ্গি পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিলেন। 

আরও পড়ুন: ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় সরকার, সেখানে কোন বার্তা দেওয়া হয়েছে?

শনিবার নবান্নে ডেঙ্গি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সহ স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষকর্তারা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বর্তমানে হাঁটুতে চোটের কারণে বাড়িতেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা যায়, বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে ডেঙ্গি রোধের নির্দেশ দিয়েছেন। আর যাতে প্রাণহানি না হয় সে বিষয়েও কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ডেঙ্গি মোকাবিলায় সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করতে হবে প্রশাসনকে। যে সমস্ত এলাকা ডেঙ্গি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত সেই এলাকাগুলিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে এদিন নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এদিকে, রাজ্য যেভাবে ডেঙ্গি বাড়ছে তা নিয়ন্ত্রণে তৃণমূল ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে শুক্রবার মিছিল করে বিজেপি ও কংগ্রেস। সল্টলেকের পার্টি অফিস থেকে বিজেপি মিছিল বের করে। তবে স্বাস্থ্য ভবন পৌঁছানোর আগেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় রাস্তা। তার জেরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি বাঁধে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য দফতর সম্প্রতি মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, ১৬ টি পুরসভায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি হচ্ছে। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পুরসভার সংখ্যা বেশি। আবার নিম্নচাপের বৃষ্টির পর মশার প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। ফলে ডেঙ্গিও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।