টানা ৬ মাস যান নিয়ন্ত্রণ দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে, দুর্গাপুজোর পর শুরু হবে কাজ

দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মেরামত প্রয়োজন সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। সেটা দুর্গাপুজো মিটলেই হবে তাও খবর ছিল। কিন্তু এই বৃহৎ সংস্কারের কাজ দুর্গাপুজোর পর শুরু হলেও শেষ কোথায়?‌ উঠছে প্রশ্ন। কারণ এই কাজ করতে বিপুল পরিমাণ সময় লাগবে। আর এই বিপুল সময়ে হ্যাপা পোহাতে হবে জনগণকে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে এই কাজ চলাকালীন যানবাহন থেকে শুরু করে হাঁটাচলা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। সুতরাং কলকাতা থেকে হাওড়ার মধ্যেই এই সংযোগকারী সেতু দিয়ে যাতায়াত কঠিন হবে।

কত সময় ঠিক লাগবে?‌ এই সেতু মেরামত করে স্বাভাবিক যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে প্রায় ৬ মাস সময় লাগবে। তার জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। কলকাতা এবং হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুতে তখন সহজেই উঠে পড়া যাবে না। তাতে সাধারণ মানুষ বেশ সমস্যায় পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন। তাদের পক্ষ থেকেই সেতুর সংস্কার করার কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই কাজ শুরু হবে বলে সূত্রের খবর। কাজ শেষ হতে ৬ মাস সময় লাগবে।

তাহলে বিকল্প পথ কেমন হবে?‌ এই সংস্কার–মেরামতের কাজ যতদিন চলবে ততদিন এই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যান নিয়ন্ত্রিত করা হবে। এই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ৬টি লেনের মধ্যে মাত্র দুটি লেন যান চলাচলের জন্য খোলা থাকবে। এটাই হল বিকল্প পথ। তবে তাতে যানজটের আশঙ্কা থাকবে। এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন ভারী যানবাহনগুলিকেও দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে উঠতে দেওয়া হবে না। তখন সেই যানবাহন কোথা দিয়ে যাবে সেটাও ভাবার বিষয়। সব মিলিয়ে একটা বড় কাজ যেমন হবে তেমন দিনরাত নাকালও হতে হবে।

আরও পড়ুন:‌ এবার দুর্গা প্রতিমা ভাঙল বালুরঘাটে, মহালয়ার প্রাক্কালে আলোড়ন, তদন্তে নামল পুলিশ

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এই ভারী যানবাহনগুলিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে উঠতে না দিয়ে সেগুলিকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ভিআইপি রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। তাতে হাওড়া হয়ে কলকাতায় আসা বা বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ভারী যানবাহনগুলিকে দক্ষিণেশ্বরের নিবেদিতা সেতু ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে পথে যানজট তৈরি হতে পারে। আর সেটা ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গেলেও তার পর আছে কালীপুজো। আবার কলকাতায় ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলাও থাকবে। সুতরাং দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বড় সময় ধরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হতে পারে।