হাইতিতে ‘বহুজাতিক’ বাহিনী পাঠাতে জাতিসংঘে অনুমোদন, সাড়া দেয়নি চীন-রাশিয়া

সন্ত্রাস মোকাবিলায় ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র হাইতিকে সহায়তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ‘বহুজাতিক’ বাহিনী পাঠাতে অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এর পক্ষে ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র ভোট দেয়। মিশনটি কেনিয়ার নেতৃত্বে পরিচালনার পক্ষে ভোট পড়ে ১৩টি।

২০২১ সালে নিজ বাসায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনাল মোইসি। এরপর দেশটিতে ছোট-বড় অনেক গ্যাং মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। হত্যা ও লুটপাট নিয়মিত ঘটনা। কোনভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। 

এমন বাস্তবতায় করণীয় নিয়ে সোমবার (২ অক্টোবর) জাতিসংঘের সদর দফতরে ভোট আয়োজন করে নিরাপত্তা পরিষদ। বহুজাতিক বাহিনী পাঠানোর পক্ষে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে প্রতিনিধিরা। তবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল রাশিয়া ও মিত্র চীন।

এ বিষয়ে হাইতির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ভিক্টর জিনিয়াস সোমবারের ভোটকে সাধুবাদ জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের দেশগুলোকে দ্রুত এই সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, ‘এটি একটি সাধারণ ভোটের চেয়েও বেশি। যা দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ। যারা দীর্ঘদিন সহিংসতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য আশার আলো।’

সন্ত্রাসীদের উৎপাত বন্ধে এতদিন আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন হাইতির বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরিয়েল হ্যানরি। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ কোনও সমাধানে আসতে না পারায় ঝুলে ছিল।

জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৫২ লাখ জনবসতির দেশটিতে প্রায় অর্ধেকের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। দেশটিতে গ্যাং সহিংসতার কারণে বাস্তচ্যুত হয়েছেন অন্তত ২ লাখ মানুষ। সন্ত্রাসীদর হাতে চলতি বছরই প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার। অপহরণের শিকার হয়েছেন দেড় হাজার মানুষ। সূত্র: আল জাজিরা