NBSTC workers-বেতন বৃদ্ধির নির্দেশিকা বাতিল, বহু দাবিতে পুজোর মুখে আন্দোলনে NBSTC–র কর্মীরা

গত বছর পুজোর আগে আন্দোলনে নেমেছিলেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের অস্থায়ী কর্মীরা। আর এবার পুজোর মুখে আন্দোলনে নামলেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের অস্থায়ী কর্মীরা। বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে আজ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান। সেই সঙ্গে তারা অবস্থানে বসেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এদিন আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: পুজোয় বাড়তি বাস, শাটল পরিষেবা, ভ্রমণের প্যাকেজ, কোমর বেঁধে নামছে NBSTC

কী অভিযোগ কর্মীদের?

তাদের বক্তব্য, রাজ্য পরিবহণ দফতর ২০১৯ সালে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্থায়ী কর্মীদের ৬০ পর্যন্ত চাকরির নিশ্চয়তা করা হবে। এছাড়া অবসরকালীন তাদের একসঙ্গে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তাছাড়া প্রতিবছর ৩ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি করা হবে এবং পাঁচ বছর পর পর বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছিলেন অস্থায়ী কর্মীরা। সরকার সেই ঘোষণা মতোই বেতন সহ অন্যান্য সুবিধা দিয়ে আসছিল অস্থায়ী কর্মীদের। কিন্তু, পুজোর আগে সম্প্রতি হঠাৎ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বাড়ানো হবে না। এই মর্মে একটি সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করা হয়। সরকারের এই নির্দেশিকা জারি পরেই ক্ষোভে ফেটে ওঠেন অস্থায়ী কর্মীরা।

 সংস্থার ১৭৫০ জন কর্মী এদিন একযোগে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের ডাকে প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করে। এরফলে এদিন উত্তরবঙ্গ বাস পরিবহণ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। সমস্যার  যাত্রীরা। পুজোর মরশুমে এখন চলছে কেনাকাটা। অনেকেই এরজন্য বাসের ওপরই ভরসা করে থাকেন। তাছাড়া, নিত্যযাত্রী ও অন্যান্য যাত্রীরা এদিন বাস পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় সমস্যায় পড়েন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সংস্থার কর্মীরা দিনরাত ধরে পরিশ্রম করছেন। যার ফলে সংস্থার আয় ১৬ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের নির্দেশিকা বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। তারফলে বিপাকে পড়েছেন পরিবহণ সংস্থার কর্মীরা। তাদের আরও বক্তব্য, সামনে পুজো। সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্যায় করেছে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের আয় বাড়লেও তারা বিপদে পড়ছেন। 

 ৬০ বছর আদৌও তাদের চাকরি থাকবে কিনা তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে তাদের সংসার চলবে কীভাবে? তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন কর্মীরা। এই অবস্থায় নির্দেশিকা প্রত্যাহার না করলে তারা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সরকার যে নির্দেশিকা জারি করেছে সেই নির্দেশ সকলকে মানতে হবে। পরিবহণ দফতরের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করা হবে।