Sikkim flood Update: বেড়াতে গিয়ে সিকিমে আটকে পরিজন? খবর জানতে এই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতে পারেন

সিকিমে আটকা পড়ে রয়েছেন প্রায় তিন হাজার পর্যটক। দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা বেড়াতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে রাজ্য বহু পর্যটক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উৎকণ্ঠায় রয়েছেন পর্যটকদের আত্মীয় এবং পরিবারের লোকজন। তাঁদের সেই উৎকণ্ঠা দূর করতে হেল্পলাইন চাল করল সিকিম সরকার একই সঙ্গে হেল্পলাইন চালু করেছে সেনাও।

সিকিম পুলিশের হেল্পলাইনগুলো হল, ০৩৫৯২- ২০২৮৯২, ০৩৫৯২- ২২১১৫২ এবং ৮০০১৭৬৩৩৮৩। এছাড়াও ০৩৫৯২- ২০২০৪২ নম্বরে ফোন করেও সাহায্য পাওয়া যাবে। হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মৃত্যুর খবর মিলেছে। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ১৮। প্রশাসন মনে করছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ২৩জন সেনা-সহ ১০২ জন এখনও নিখোঁজ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর কদমে উদ্ধার কাজ চালানো তবে নাগাড়ে বৃষ্টির কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে।

সেনাবাহিনীও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য হেল্পলাইন চালু করেছে। উত্তর সিকিমের বাসিন্দাদের জন্য এই হেল্পলাইন নম্বর হল ৮৭৫০৮৮৭৭৭৪ এবং পূর্ব সিকিমের জন্য হেল্পলাইন নম্বর হল ৮৭৫৬৯৯১৮৯৫। নিখোঁজ হওয়া সেনা জওয়ানদের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেই জওয়ানদের পরিবারের জন্য একটি হেল্প লাইন চালু করেছে। সেনা পরিবারগুলির জন্য হেল্পলাইন নন্বর ৭৫৮৮৩০২০১১। এছাড়া বেসরকারি কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চেষ্টা তাদের মতো আটকে থাকা পর্যটকদের পাশে থাকা।

(পড়তে পারেন। তিস্তার পারে বিস্ফোরক, গোলাবারুদ থাকতে পারে, সতর্ক করল প্রশাসন)

জাতীয় সড়ক ১০-এর বিভিন্ন জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সিকিম এবং কালিম্পং কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এর ফলে যান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।

সিকিম সরকার পরিকল্পনা করছে চপারে করে যদি পর্যটকদের সরিয়ে আনতে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জেরে তা কতচা সম্ভব হবে তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। বেশির ভাগ পর্যটক আটকে রয়েছেন লাচেন এবং লাচুং-তে। তাদের সঙ্গে যোগযোগ রাখতেও বেশ সমস্যা হচ্ছে।

তিস্তা অববাহিকার মোট ১১ টি সেতু ভেসে গিয়েছে। জাতীয় সড়ক ১০-এর একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাঙ্গান রাজ্যের অন্যান্য অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা এবং এনজিওগুলি উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। রাজ্যের চারটি জেলার ২২টি ত্রাণ শিবিরে ৬৫০ জনকে রাখা হয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিমে সেনাবাহিনীর গোলবারুদের একটি ডিপো। সেই বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ তিস্তা নদীর তীরে পাওয়া যেতে পারে। তা নিয়ে জনগণকে সতর্ক করেদিল সিকিম সরকার।