Loco pilot save life: রেল লাইনের ওপর খেলছিল শিশু, দুই লোকো পাইলটের তৎপরতায় বাঁচল প্রাণ

দুই লোকো পাইলটের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল তিন বছরের এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে পূর্ব সেন্ট্রাল রেলওয়ের অধীনে সোনেপুর ডিভিশনের বাচওয়ারা স্টেশনের কাছে। শুক্রবার সকালে রেল লাইনের ওপরে  ওই শিশু চলে এসেছিল। ট্রেনের হুইসল দেওয়ার পরেও শিশুটি লাইন থেকে সরে যাওয়ায় শেষে জরুরী ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন লোকো পাইলট। পরে শিশুকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুই লোকো পাইলট যেভাবে শিশুটির প্রাণ বাঁচিয়েছেন তাতে সকলেই তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। 

আরও পড়ুন: অসংখ্য যাত্রীর প্রাণ বাঁচানো খুদেকে ১৫০০পুরস্কার! হাসির খোরাক রেল, জবাবে যা বলল

কী ঘটেছিল?

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লখনউ–বারাউনি এক্সপ্রেস ১৫২০৪ রেল লাইন ধরে যাওয়ার সময় হঠাৎ সহকারী লোকো পাইলট কিশান কুমার লক্ষ্য করেন ওই মেয়েটি বাচওয়ারা এবং তেঘরা স্টেশনের মধ্যে রেললাইনের ওপর খেলছে। তখন লোকো পাইলট ট্রেনের হুইসেল বাজিয়ে শিশুকে সতর্ক করার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছিল সকাল ৭.১৫ টা নাগাদ। কিন্তু, তারপরেও শিশুটি রেল লাইন থেকে না সরায় জরুরী ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন লোকো পাইলট আরএমপি যাদব। যার ফলে শিশুটির প্রাণ বাঁচে। ২ লোকো পাইলট নিজেদের বোঝাপড়ার মাধ্যমে যেভাবে তৎপরতা দেখিয়েছেন তাতে তাঁদের বাহবা জানিয়েছেন যাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয়দের সকলেই।

এদিকে, ট্রেনটি জরুরী ব্রেক কষার পর যাত্রীরা অবশ্য আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সজোরে ট্রেন থানার কারণ খতিয়ে দেখতে অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। তখনই জানতে পারেন আসল কারণ। এদিকে, গ্রামবাসীরাও সেখানে জড়ো হন। পরে মেয়েটিকে তার বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মেয়েটি রেল লাইনের পাশেই একটি গ্রামে থাকে। খেলতে খেলতে সে রেললাইনের উপর চলে এসেছিল। তবে সে শিশু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তার পক্ষে বোঝা সম্ভব ছিল না কোনটি বিপজ্জনক। ট্রেনের হুইসল শোনার পরেও ফলে রেললাইন থেকে সরে না গিয়ে সেখানেই খেলছিল শিশুটি।  

স্থানীয়দের বক্তব্য, লোকো পাইলটরা এভাবে তৎপরতা না দেখালে হয়ত শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হত না।

সোনেপুরের ডিআরএম বিবেক ভূষণ জানিয়েছেন, ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীরা এবং আশেপাশের গ্রামবাসীরা যারা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। তারা লোকো পাইলটদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এদিকে এই ঘটনার পরেই স্থানীয়দের শিশু বা গবাদি পশু যাতে রেল লাইনে চলে না আসে তার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ট্রেনটি বেশ কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়ানোর পর আবার গন্তব্য স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।