Sikkim flash flood: সিকিমে তিস্তা নদীর বিপর্যয়ে নিখোঁজ বীরভূমের একই পরিবারের ৮

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত সিকিম। তিস্তার ধ্বংসলীলায় নিখোঁজ বহু মানুষ। একাধিক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাদের মধ্যে অনেকেরই খোঁজ পাচ্ছে না।  এখনও নিখোঁজ বহু বাঙালি। সেরকমই সিকিমে ঘুরতে গিয়ে বীরভূমের একই পরিবারের ৮ সদস্য এখনও নিখোঁজ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দুই শিশু। ওই পরিবারটি বোলপুরের ভগবতী বাজারের বাসিন্দা। গত ৩ অক্টোবর সিকিমে তিস্তার ধ্বংসলীলার পর থেকেই পরিবারটির সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না অন্যান্য সদস্যরা। তার জেরে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন: বন্যা বিধ্বস্ত সিকিমে এখনও পর্যন্ত ৩৮ জন মৃত, নিখোঁজ বহু, দেহ ভেসে উঠছে

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের নাম হলো–এসথাউদ্দিন শেখ (৪২), নাজিয়া খাতুন (৩৭), মুজাফফর আহমেদ (৪০), রেবিকা মণ্ডল (৩৪),  সোহান রাজভি (৬), রেহা তানভি (১০), রায়সা জাহান (৪) এবং রায়সা জাহান (১৩)। পারিবারিক সূত্রের খবর, পরিবারের ৮ সদস্য গত ১ অক্টোবর বোলপুর থেকে সিকিমের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। তারা দক্ষিণ সিকিমের লাচেন এলাকার ড্রাগন নামে একটি হোটেলে উঠেছিলেন। তবে ৩ অক্টোবর বিপর্যয়ের পর থেকেই আর কোনওভাবেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। এই অবস্থায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তারা চাইছেন যে কোনওভাবে প্রশাসন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। তাছাড়া বর্তমানে তারা কী অবস্থায় রয়েছেন? সে বিষয়ে যেন প্রশাসন তাদের খোঁজখবর দিক।

অন্যদিকে, মালদার রতুয়ার বাসিন্দা ইনফসিসে কর্মরত তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সুশান্ত সাহাও তিন বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন সিকিমে। চলতি মাসের ১ তারিখ শিলিগুড়ি থেকে বাইকে করে সিকিমের গুরুদাওলেগের পথে পাড়ি দিয়েছিল তিন বন্ধু। অন্য দুজনের বাড়ি শিলিগুড়ি এবং বিহারে। ৩ তারিখ বিকেলে তাঁর সঙ্গে শেষ যোগাযোগ হয়েছিল পরিবারের। তারপর থেকেই আর কোনওভাবে যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছে না সুশান্তদের। যারফলে চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের সদস্যদের। উল্লেখ্য, সিকিমের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ১৪৩ জন। এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। সিকিম সরকার জানিয়েছে, ১১৭৩ বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২৪১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।