National medical commission: সাইনবোর্ডে লেখা যাবে না ভুয়ো রাশভারী উপাধি! চিকিৎসকদের কড়া নির্দেশ কমিশনের

নিজের পরিচিতি লিখতে বিশাল সাইজের সাইনবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এই নিয়ে সতর্ক করল জাতীয় মেডিকাল কমিশন। সম্প্রতি কমিশনের তরফে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নিজের নাম, যোগ্যতা, কোন মেডিকাল কলেজ থেকে পাশ, বর্তমানে কোথায় কর্মরত ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া আরও কোনও কিছু দেওয়া যাবে না বোর্ডে। কোনও রকম ‘বিশেষজ্ঞ’ বা ‘কনসালটেন্ট’ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা যাবে না ওই সাইনবোর্ডে। 

(আরও পড়ুন: সময়মত চিকিৎসার অভাবে ভারতে মৃত্যু হয় ক্যানসার আক্রান্ত ৬৭ শতাংশ মহিলার)

সম্প্রতি একটি ঘটনা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় জাতীয় মেডিকাল কমিশন। আল্ট্রাসাউন্ড প্রযুক্তিতে সাধারণ ডিগ্রি কোর্স করা এক চিকিৎসক নিজেকে সোনোলজিস্ট বলে দাবি করেছেন। সেই হিসেবেই অনেক দিন ধরে চিকিৎসা করে চলেছেন তিনি। এই ঘটনা ইন্ডিয়ান মেডিকাল অ্যাসোসিয়েশনের নজরে আসে। সেখান থেকে ব্যাপারটি জানানো হয় জাতীয় মেডিকাল কমিশনে। এর পরেই ওই চিকিৎসককে সতর্ক করা হয়। পাশাপাশি লিখিয়ে নেওয়া হয়, এই ধরনের উপাধি তিনি আর ভবিষ্যতে ব্যবহার করবেন না। করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

(আরও পড়ুন: জিভেরও রয়েছে ‘ষষ্ঠ’ ইন্দ্রিয়! কী সেটা? খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা)

ঠিক কোন ডিগ্রি ছিল ওই চিকিৎসকের? কমিশন জানিয়েছে, এমবিবিএস ডিগ্রি পাশ ওই চিকিৎসক। এর পর একটি স্বল্প সময়ের সোনোগ্রাফি কোর্স করেন তিনি। কিন্তু সে কোর্স নিয়ে কঠিন কঠিন রোগের চিকিৎসা করছেন। পিসিপিএনডিটি আইন অনুযায়ী, এই কাজ অপরাধের সামিল। এই আইন অনুযায়ী, স্বল্পসময়ের কোর্স করলে চিকিৎসক কোনও বিশেষজ্ঞ বা ‘কনসালটেন্ট’ হতে পারেন না। এ নিয়েই আপত্তি তোলে চিকিৎসকদের সংগঠন। জাতীয় মেডিকাল কমিশনে এই নিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নিল কমিশন। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়।

কমিশনের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের কাউকে এমন কার্যকলাপ করতে দেখলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে কমিশন। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, চিকিৎসার মতো জরুরি বিষয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করতে। এতে সাধারণ মানুষ অনেক সময় সঠিক চিকিৎসা পান না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেই বড়সড় ফাঁক থেকে যায়। তাই সাইনবোর্ড নিয়েও আলাদা করে নির্দেশ জারি করল জাতীয় মেডিকাল কমিশন।