Fish Curry-Rice in Goa: রাখতেই হবে মাছ-ভাত, শুধু উত্তর ভারতের খাবারে হবে না! হোটেল-মেনু নিয়ে নির্দেশ গোয়ার সরকারের

গোয়ায় বেড়াতে গেলে, সেখানকার সৈকতের চালাঘরের খাবারের দোকানগুলিতে খাওয়া অনেকের জন্যই মাস্ট। এই দোকানগুলি শুধু খাবার নয়, নানা ধরনের পানীয়ের ব্যবস্থাও থাকে। গত কয়েক বছরে গোয়ার এই সব খাবারের দোকান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই সব দোকানের মেনু নিয়েই এবার বড় নির্দেশ গোয়ার রাজ্য সরকারের।

কী বলা হয়েছে নির্দেশে? গোয়ার সমুদ্র সৈকতের এই সব খাবারের দোকানে এবার বিক্রি করতেই হবে ‘মাছ-ভাত’। যগোয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার হল এই ‘ফিশ কারি-রাইস’। যদিও সৈকতের এই সব খাবারের দোকানের অনেকগুলিতেই এই খাবারটি পাওযা যায় না। আর সেই কারণেই সরকারের তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। 

(আরও পড়ুন: ডায়াবিটিসের রোগী? চিন্তা ভুলে কার্বোহাইড্রেটের জন্য খান এই ৫ খাবার)

কেন এমন নির্দেশ? সরকারের তরফে বলা হয়েছে, তারা চায়, এই সব খাবারের দোকানগুলিতে স্থানীয় খাবার বেশি করে বিক্রি হোক। গোয়ার জনপ্রিয় খাবারগুলির সঙ্গে যেন পর্যটকদেরও পরিচয় হয়, তাই এই ব্যবস্থা।

যে কোনও জায়গায় বেড়াতে গেলে, সেখানকার খাবার চেখে দেখতে চান বহু পর্যটকই। ভ্রমণের একটি বড় অংশই হল রসনাতৃপ্তি। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, কোনও কোনও খাবারের দোকানের মেনু থেকে বাদ পড়ে যায়, সেই এলেকার খাবারই। বরং যে সব জায়গা থেকে বেশি সংখ্যায় পর্যটক আসেন, তালিকায় ঢুকে পড়ে সেই সব এলাকার খাবার। গোয়ার ক্ষেত্রেও অনেকাংশে বিষয়টা এরকমই হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সৈকতের এই সব খাবারের দোকানে বেশি মাত্রায় বিক্রি হচ্ছিল উত্তর ভারতের খাবার। আর তাতে পিছিয়ে পড়ছিল গোয়ার নিজস্ব পদগুলি। আপাতত সেই বিষয়টি থামাতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হল সরকারের তরফে।

(আরও পড়ুন: শ্বাস নিতে নিতেই কমানো যায় কোলেস্টেরল! তবে একটু অন্য কায়দায় নিতে হবে)

এর পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোয়ার এই সব সৈকতে বহু মহিলা ঘুরে ঘুরে খাবার বিক্রি করেন। তাঁদের অনেক সময়ই ধরা হয়। সেক্ষেত্রে তাঁরা দাবি করেন, স্থানীয় ওই সব চালাঘরের দোকানের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত। সরকারের বক্তব্য, এই সব মহিলাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা আসলে কোনও খাবারের দোকানের সঙ্গেই যুক্ত নন। বেআইনি ভাবেই নাকি তাঁরা ব্যবসা করছেন। এই বিষয়টিও থামাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। তাই খাবারের দোকানগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক দোকানের সঙ্গে এমন ক’জন ভেন্ডার যুক্ত, সেটিও জানাতে হবে। তাহলেই এই বেআইনি ফেরিওয়ালাদের আটকানো যাবে বলে মনে করছে সরকার।