Municipal Recruitment Scam: পুরসভায় ৮৫ শতাংশ নিয়োগেই দুর্নীতি! CBI তল্লাশির মধ্যেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের ১২টি ঠিকানায় একযোগে চলছে সিবিআই হানা। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রসহ বিভিন্ন পুরসভার বর্তমান ও প্রাক্তন পুরপ্রধানদের বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের ৬৮টি পুরসভায় প্রায় ৫০০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতির সূত্র খুঁজতে আদালতের নির্দেশে চলছে তদন্ত ও তল্লাশি।

এদিন সকালে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গোয়েন্দারা পৌঁছলে প্রথম সিবিআই হানার খবর জানা যায়। এর পর মদন মিত্রর চেতলার বাড়িতেও সিবিআই পৌঁছেছে বলে খবর আসে। ধীরে ধীরে রাজ্যের একাধিক পুরসভার পুরপ্রধান ও প্রাক্তন পুরপ্রধানদের বাড়িতে সিবিআই পৌঁছতে শুরু করে। সেই তালিকায় রয়েছে কামারহাটি, হালিশহর, বারাকপুর, দমদম, উত্তর দমদম, কৃষ্ণনগর ও টাকিতে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। কৃষ্ণনগর প্রাক্তন পুরপ্রধান অসীম সাহা, কাঁচরাপাড়া প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদামা রায়, হালিশহরের প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়িতে চলছে তল্লাশি।

গত ২০ মার্চ অয়ন শীলের বাড়ি ও দফতরে তল্লাশির সময় প্রকাশ্যে আসে পুরসভায় নিয়োগে কারচুপির বিষয়টি। এর পর জেরায় অয়ন শীল জানান, রাজ্যে ৬৮ পুরসভায় নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্ব ছিল তাঁর সংস্থার ওপরে। ২০১৪ সাল থেকে এই কাজ করছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে ওই ৬৮টি পুরসভায় কম বেশি ৬০০০টি শূন্যপদে নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে ৫০০০ নিয়োগ হয়েছে OMR শিটে কারচুপি করে। সুইপার, মজদুর, করণিক, গ্রুপ ডি, এমনকী পুরসভা পরিচালিত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে।