Sikkim Price Rise: সিকিম বিপর্যয়ের আঁচ শিলিগুড়ির বাজারে, ব্যবসাতে ধস, গ্যাংটকের বাজারেও আকাশছোঁয়া দাম

উত্তর সিকিম একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। তিস্তা যে এমন সর্বগ্রাসী হয়ে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বাসিন্দারা। এদিকে সিকিম বিপর্যয় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে শিলিগুড়ির ব্যবসার উপর। কারণ সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা শিলিগুড়ির উপর নির্ভরশীল। শিলিগুড়ি থেকে প্রচুর সামগ্রী সিকিমে যায়। কিন্তু সিকিম ও শিলিগুড়ির মধ্যে প্রধান সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধস। ঘুরপথে গ্যাংটক যেতে হচ্ছে। এতে খরচ অনেকটা বেশি। সব মিলিয়ে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমে মালপত্র যাওয়ার কাজ কার্যত থমকে গিয়েছে। এর জেরে পুজোর মুখে মাথায় হাত শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীদের।

কারণ সিকিমের প্রচুর বাসিন্দা শিলিগুড়ির উপর নির্ভরশীল। শিলিগুড়ি থেকে প্রচুর সামগ্রী সিকিমে যায়। সেই কাজ কার্যত বন্ধ।

সূত্রের খবর, প্রতি দিন শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ টন সবজি সিকিমে যায়। অন্যদিকে সিকিম থেকে বাঁধাকপি, স্কোয়াশ আসে শিলিগুড়িতে। কিন্তু সিকিম বিপর্যয়ের পর থেকে এই আনাগোনা একেবারে থমকে গিয়েছে। পরিসংখ্য়ান বলছে শিলিগুড়ির ব্যবসার প্রায় ৪০ শতাংশ সিকিমের উপর নির্ভরশীল। সিকিম থেকে দলে দলে মানুষ আসেন শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে। সেখানে ভিড় লেগেই থাকে। পাহাড় থেকেও যেমন শিলিগুড়িতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। দার্জিলিং পাহাড়ে সমস্যা হলে তার প্রভাব পড়ে শিলিগুড়ির বাজারে। তেমনি সিকিমে সমস্যা হলে, সিকিম যাওয়ার পথে ধস নামলে তার প্রভাব পড়ে শিলিগুড়ির বাজারে। আর এবার যেন একেবারে মাত্রা ছাড়িয়েছে সেই প্রভাব।

তবে শুধু যে শিলিগুড়ির বাজারে ধস নেমেছে এমনটা নয়। সিকিমের বাজারেও জিনিসপত্রের দাম একেবারে আকাশ ছোঁয়া। মূলত উত্তর সিকিমে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। তিস্তা সংলগ্ন একাধিক জনপদ কার্যত পলির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে। কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। স্কুল, কলেজ, অধিকাংশ দোকান বন্ধ। সিকিমে দাম নিয়ন্ত্রণে একাধিক জায়গায় রেট চার্ট টাঙানো হয়েছে। মূলত ব্যবসায়ীরা যাতে ইচ্ছে মতো দাম বৃদ্ধি করতে না পারেন সেজন্য প্রশাসন সক্রিয় হয়েছে। তবে মূল সমস্যাটি হচ্ছে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের যোগাযোগের সমস্যা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেটা জানেন না স্থানীয়রা।