Supreme Court on Teachers Transfer Case: শিক্ষকদের আপাতত দূরে বদলি নয়, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

শিক্ষক বদলি নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, ২০১৭ সালের আগে যে সব শিক্ষকরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের এই মুহূর্তে দূরের জেলায় বদলি করা যাবে না। প্রয়োজনে কাছের জেলা বা স্কুলে বদলি করতে হবে শিক্ষকদের। এদিকে যেসব শিক্ষকদের ইতিমধ্যেই বদলি করা হয়েছে, তাঁদের বদলি বহাল থাকবে। সেই সব শিক্ষকদের অপেক্ষা করতে হবে মামলা শেষে চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত। ততদিন ২০১৭ সালের আগে নিযুক্ত কোনও শিক্ষককে দূরে বদলি করতে পারবে না বিকাশ ভবন। তবে এই সময়কালে ২০১৭ সালের পরে নিযুক্ত সব শিক্ষকদেরই প্রয়োজন মতো রাজ্যের যেকোনও জায়গায় বদলি করা যাবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিকে এই মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই মামলায় হলফনামা পেশ করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অভিযোগ উঠেছিল, ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের অনেক দূরে দূরে বদলি করা হচ্ছে। যার প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছিলেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। এই নিয়ে আদালতে মামলাও করা হয়েছিল। সেই মামলার জলই গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন গতকাল সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাজ্যকে প্রশ্ন করা হয়, কোনও মহিলা শিক্ষককে কেন তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ কিমি দূরের কোনও স্কুলে বদলি করা হচ্ছে? এই আবহে রাজ্য যুক্তি দেয়, শিক্ষক বদলি তাদের অধিকারের মধ্যেই পরে। এক্তিয়ার বহির্ভূক্ত কোনও কাজ সরকার করেনি। তবে সঞ্জয় কিষাণ কউল এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ রাজ্যের যুক্তি মানেননি। এদিকে শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে গতকাল সওয়াল করেন মুকুল রোহতগি।

শীর্ষ আদালত বলে, অনেক মহিলাকেই তাঁদের সংসার সামলাতে হয়। তার সঙ্গে তিনি চাকরি করেন। এর মাঝেও নিজের সন্তানের দেখভাল করতে হয় তাঁকে। এই আবহে কেউ কীভাবে ২০০ কিমি দূরে গিয়ে রোজ ক্লাস নেবেন? বা সংসারের থেকে দূরে থাকতে হবে তাঁকে। উল্লেখ্য, শিক্ষক বদলির বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী সংগঠন। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ১৯৯৭ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন আইনে ২০১৭ সালে নতুন ১০সি ধারাটি যোগ করা হয়েছিল। এই আবহে তাঁদের যুক্তি ছিল, ২০১৭ সালের আগে যে সব শিক্ষকরা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর সেই ধারা প্রয়োগ করে বদলি করা যায় না। যদিও রাজ্যের দাবি, পড়ুয়া ও শিক্ষকদের অনুপাত দেখেই বদলি করা হয়েছে। এই বদলির ক্ষমতা রাজ্যের এক্তিয়ারের মধ্যেই পড়ে বলে দাবি করে রাজ্য। তবে শীর্ষ আদালত বলে, যদি ক্ষমতা থেকেই থাকত, তাহলে নতুন করে ধারা যোগ করতে হত না।