Bangladesh Hilsa: নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় পুজোয় মিলবে না বাংলাদেশের ইলিশ!

দুর্গাপুজোর বাঙালির রসনাতৃপ্তির কথা মাথায় রেখে এবার বাংলাদেশের কাছে ৫ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানিয়েছিলেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, বাংলাদেশ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ৩,৯৫০ টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিল। তবে সেই জায়গায় এখনও পর্যন্ত কলকাতায় পৌঁছেছে এক সপ্তমাংশ ইলিশ। এর ওপর আজ বৃহস্পতিবার থেকে টানা ২২ দিন পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে স্বাভাবিকভাবে পুজোয় বাংলাদেশের ইলিশ কলকাতায় আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

আরও পড়ুন: ইলিশ মাছের অভাব দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে, মাত্রাছাড়া দাম বাড়ছে বাজারে

উল্লেখ্য, এবছর এখনও পর্যন্ত কলকাতায় ৫৬০ টন ইলিশ রফতানি করেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তবে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতর ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সেক্ষেত্রে আইন অমান্য করলেই কড়া শাস্তির নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং কলকাতায় দেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত ইলিশের ব্যবসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা। তবে তাতে সাড়া দেননি বাংলাদেশ। কিন্তু, নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই পুজোয় বাংলাদেশের ইলিশ আমদানির সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মৎস দফতর জানিয়েছে, গত বছরও এই অভিযান করা হয়েছিল। তাতে সাফল্য এসেছিল। এই ২২ দিনে গতবার ৫২ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পেরেছিল। তাই এবারও ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে এই ২২ দিন সেখানকার মৎস্যজীবীদের ভাতা দেবে বাংলাদেশ সরকার। যেহেতু এই নিষেধাজ্ঞা নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে তাই আর ইলিশের সরবরাহ আসবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারতে ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় আবার ইলিশ রফতানি শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২১ সাল থেকে অনুমোদিত ইলিশ রফতানি না হলেও এবছর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। মাত্র ১৪ শতাংশ ইলিশ রফতানি করেছে বাংলাদেশ।মাছ আমদানিকারক সমিতির সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানান, বাংলাদেশ সরকারকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল।মূলত চাহিদার তুলনায় এ বছর ইলিশ কম থাকায় দামও বেড়েছে। গত বছর বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। ১ কেজি ওজনের দাম ছিল ৯০০–১০০০ টাকা। আর এই বছর দাম যথাক্রমে ১১০০ থেকে ১৩৬০ টাকা হয়েছে।