জেলে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সেলে থাকবেন চন্দ্রবাবু নাইডু, অনুমতি দিল আদালত

জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে। স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নান্দিয়াল জেলার পুলিশ এবং সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। সুতরাং জামিন না মেলায় এখনও তিনি জেলে। কিন্তু নিম্ন আদালত এবার তাঁর শারীরিক কথা চিন্তা করে শনিবার জেলের কুঠুরিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (‌এসি)‌ লাগানোর অনুমতি দিয়েছে। সুতরাং এখন রাজামহেন্দ্রভরম সেন্ট্রাল জেলে বসতে চলেছে এসি।

এদিকে শনিবার বিজয়ওয়াড়ার এসিবি আদালতে কয়েকজন আইনজীবীর প্রতিনিধিদল সওয়াল করেন চন্দ্রবাবু নাইডুর পক্ষে। সেখানেই এই এসি যন্ত্র লাগানোর কথা তোলা হয়। কারণ চন্দ্রবাবু নাইডু একজন জনপ্রতিনিধি। তাছাড়া তাঁর বয়স হয়েছে। এই সব দিক চিন্তায় করেই এদিন সওয়াল করা হয়। যার অনুমতি দিয়েছেন বিচারক। এমনকী সেখানে চিকিৎসকদের নথিও জমা দেওয়া হয়। সেটি খতিয়ে দেখেন বিচারক। তারপরই চন্দ্রবাবু নাইডু জেলের যে সেলে আছেন সেখানে এসি মেশিন বসানোর অনুমতি দেন বিচারক। আর সেটা করতে উদ্যোগী হয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকদের পরামর্শ ঠিক কী?‌ অন্যদিকে রাজামহেন্দ্রভরম সেন্ট্রাল জেলে থাকা নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর পক্ষে একটি চিকিৎসকদের নথি এসিবি আদালতে জমা দেন আইনজীবীরা। তার সঙ্গে আইনজীবীরা সওয়াল করেন, ‘‌সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকরা একটি রিপোর্ট দিয়েছেন। সেখানে পরামর্শ দেওয়া রয়েছে। অবিলম্বে রাজামহেন্দ্রভরম সেন্ট্রাল জেলে আবেদনকারীকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সেলে রাখার ব্যবস্থা করা হোক। কারণ তাঁর ত্বকের সমস্যা রয়েছে। সেটা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যই এই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।’‌ আইনজীবীরা জানান, চন্দ্রবাবু নাইডুর বয়স ৭৩।

আরও পড়ুন:‌ মহালয়ার রাতেই শ্রীভূমির ভিড়ে চাপে পড়ে গেল পুলিশ, দুর্গাপুজোর দিনে কি ভাঙবে বাঁধ?

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ দ্রুততার সঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুকে এসি সেলে রাখা না হলে সেটা হবে অপূরণীয় ক্ষতি এবং কষ্টের। চিকিৎসকদের একটি টিম শনিবার রাজামহেন্দ্রভরম জেলে এসে পরীক্ষা করেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। আর তারপরই তাঁরা পরামর্শ দেন, এখন চন্দ্রবাবুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন নেই। তবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখতে হবে। এখন একমাসের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন চন্দ্রবাবু। তবে আদালত চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে অনুমতি দিয়েছেন এসি সেলে রাখতে চন্দ্রবাবুকে। ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।