আবার কয়লা খনিতে ধস, রানিগঞ্জের চারদিন পর ধানবাদে চাপা পড়ে মৃত্যু দু’‌জনের

রানিগঞ্জের পর এবার মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী ধানবাদ। ধানবাদের ইসিএলের কয়লা খনিতে সোমবার কয়লা চুরি করতে গিয়ে ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ইসিএলের খোলামুখ খনিতে অবৈধভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে চাল ধসে রানিগঞ্জে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। তিনটি দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এবার ইসিএলের কয়লা খনিতে অবৈধভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে আবার দুর্ঘটনা ঘটল। মৃত্যু হল দু’জনের। তবে ধসের নীচে চাপা পড়ে আরও কেউ আছে কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইসিএলের মুগমা এরিয়ার কাপাসারা খোলামুখ খনিতে এই ঘটনা ঘটেছে। মাত্র চারদিনের মধ্যে কয়লা খনিতে আবার ধস এবং মৃত্যুর ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।

এদিকে এখনও পর্যন্ত দুটি মৃতদেহ মিলেছে। যার মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। মৃতের নাম যমুনা রাজবংশী। আর একজনের পরিচয় মেলেনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধসের নীচে চাপা পড়ে থাকতে পারে আরও কয়েকজন। এই ঘটনাটিতে ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষতিপূরণের দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার পর রানিগঞ্জের মতোই নিরসাতেও ইসিএল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন কারও হেলদোল দেখা যায়নি। নিরসার বিজেপি বিধায়ক অপর্ণা সেনগুপ্তর অভিযোগ, খোলামুখ খনিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা আছে পাঁচ মাস ধরে। এখানে না আছে সিকিউরিটি না আছে বাউন্ডারি।

অন্যদিকে গত বুধবার ইসিএল কুনুস্তরিয়া এরিয়ার অন্তর্গত রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি খনিতে ধস নামলে কয়েকজন চাপা পড়ে যায়। তারপর সেখানে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খনির দেওয়ালে ফুটো করে তখন কয়লা সংগ্রহ করা হচ্ছিল। কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী সেটা করছিলেন। তখনই ধস নামার জেরে তাঁরা চাপা পড়ে যান। এই এলাকায় পৌঁছন তখন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার কয়লাখনিতে ধসে মৃত্যু হল। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে এই নিরসাতে বিসিসিএলের খোলামুখ খনিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।

আরও পড়ুন:‌ বিজেপি কর্মী খুনের মামলা:‌ মৃতের পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

তবে এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবি উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনার পর ইসিএল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ মাস ধরে খোলামুখ খনিটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। এখানে নিরাপত্তা কিংবা ঘেরা— কোনও কিছুরই ব্যবস্থা নেই। ইসিএলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে।