Sikkim Flood: আর হবে না সিকিমের মতো বিপর্যয়, হ্রদ বিস্ফোরণের আগাম সতর্কতা দিতে বসল যন্ত্র

হিমালয়ের শিখরে হিমবাহ গলা জলে পুষ্ট বিপজ্জনক হ্রদগুলির ওপর আগামী বছর থেকে নজরদারি শুরু করবে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সোমবার সরকারের এক বরিষ্ঠ আধিকারিকের সূত্রে এই খবর জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়েটার্স। গত ৩ অক্টোবর উত্তর সিকিমে তিব্বত সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ লহনক হ্রদের পাড় ভেঙে হড়পা বানে সিকিমে এখনো পর্যপ্ত প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই হ্রদটি থেকে যে এই ধরণের বিপর্যয় ঘটতে পারে সে খবর আগে থেকেউ ছিল সরকারি সংস্থাগুলির কাছে। এর পরই হিমালয় শিখরে অবস্থিত হিমবাহ গলা জলে পুষ্ট হ্রদগুলির ওপর নজরদারির অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

ভারতে হিমালয় শিখরে মোট ৫৬টি বিপজ্জনক হ্রদ চিহ্নিত করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সেগুলির জলস্তর ও আবহাওয়ার সরাসরি তথ্য পাওয়ার জন্য সুইৎজারল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতীয় সংস্থাগুলি একযোগে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে লহনক হ্রদ ও তার কাছাকাছি শাকো চো হ্রদে এজন্য যন্ত্রপাতি বসিয়েছে তারা। দেশে প্রথম এই ধরণের প্রযুক্তির ব্যবহার হল সিকিমে। যে কোনও রকম বিপর্যয়ের ৯০ মিনিট আগে সতর্কবার্তা দিতে পারে এই ব্যবস্থা।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সদস্য কৃষ্ণ এস ভাস্তা জানিয়েছেন, কোন কোন হ্রদে এই যন্ত্র বসাতে হবে তার তালিকা তৈরি করবে রাজ্য সরকারগুলি। তিনি বলেন, এই যন্ত্রগুলি বসানো সহজ মনে হলেও আসলে খুবই কঠিন কাজ। কারণ এই হ্রদগুলিতে পৌঁছতে হয় দুর্গম পথ পেরিয়ে। তার ওপরে শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালের কয়েক মাস এই পথ দিয়ে যাতায়াত করা যায়। যন্ত্রগুলি চলবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে।