যানজট-গরমে নাজেহাল রাজধানীবাসী

সপ্তাহের কার্যদিবসের দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট লক্ষ্য করা গেছে। একদিনে যানজট অন্যদিকে তীব্র গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে অফিসগামী যাত্রীদের। ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সকালের দিকে বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজকেন্দ্রিক যানবাহনের চাপ থাকে, সেই চাপ প্রধান সড়কগুলোতে গিয়ে পড়ছে। অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। একারণে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে  দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সোমবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহনের জন্য সড়কে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে অফিসগামীদের। আর দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার পর যখন কাঙ্খিত গণপরিবহনে উঠতে পারলেও, কিছুদূর যেতে না যেতেই যানজটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয়েছে তাদের।

সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর রোড বিশেষ করে টেকনিক্যাল থেকে শুরু হয় যানজটের। গণপরিবহনসহ বিভিন্ন পরিবহন যানজটে আটকে থেকে কিছু সময় পর পর সামনের দিকে এগোতে থাকে। টেকনিক্যাল থেকে জ্যাম পেরিয়ে কল্যাণপুর, শ্যামলী ও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পেরিয়ে আসাদ গেট পর্যন্ত আসতেই প্রায় ২ ঘণ্টা পার হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিজয় সরণি ফার্মগেট পার হতে লাগছে ঘণ্টার বেশি সময়। একদিকে দীর্ঘ যানজট অন্যদিকে গরমে হাঁসফাঁস করছে নগরবাসী।

শরতের শেষ দিন আজ। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে হেমন্তকাল। তবে হেসন্তের চিরায়ত রূপ দেখা দেয়নি আবহাওয়ায়। আজ সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র গরম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে ফরিদপুর খুলনা ও মোংলায়।

যানজটে আটকে আছে যানবাহন (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

রাজধানীর মিরপুর থেকে অফিসের উদ্দেশে রওনা দেওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তন্ময় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কল্যাণপুর থেকে যানজটে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সকালে এই যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। কল্যাণপুর এসে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হবে, এটি মাথায় নিয়েই আমাদের সড়কে বের হতে হচ্ছে। তবে কী কারণে আটকে থাকতে হচ্ছে এ বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি।

যানজটে আটকে থাকায় বিরক্তি প্রকাশ করে গণপরিবহনে থাকা আরেক যাত্রী আরিফ বলেন, যানজটের অজুহাত দিলেও এখন আর কেউ আমলে নেয় না। উল্টো বলে আরও সময় নিয়ে কেন বের হয়নি। তাহলে আমরা আর কত আগে বাসা থেকে বের হয়ে গন্তব্যে রওনা দেবো। বিষয়টি কি কেউ আমাদের বলে দেবে, তাহলে একটু সুবিধা হয়।’

রাজধানীতে যানজট (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

রমনা এবং তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, আসাদ গেট, বেইলী রোড, মহাখালী এলাকায় স্কুল-কলেজ বেশি। সকালে স্কুলগামীদের কারণে সড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ থাকে। আর এসব গাড়ির চাপ এসে প্রধান সড়কগুলোতে পড়ছে। তবে আমরা যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছি। জনগণকে যানজট থেকে কিভাবে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে।