স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে আত্মহত্যা স্বামীর, প্রতিপদেই রক্তারক্তি কাণ্ড খাস কলকাতায়

সম্পর্কের শুরুটা প্রেম দিয়েই হয়েছিল। কিন্তু শেষটা হল খুন দিয়ে। প্রেম–পর্ব চলার সময়েই দুই পরিবারের সম্মতিতে দু’‌জনে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন। তারপরই শুরু হয়ে যায় দাম্পত্য কলহ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বিয়ের বাঁধন থেকে মুক্তি পেতে চাইলেন যুবতী কৃষ্ণা দে (২০)। আর তাতে রাজি ছিলেন না কৃষ্ণার স্বামী শুভেন্দু দাস (‌৩০)‌। এভাবেই দু’‌জনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন তিক্ততায় পৌঁছয়। তারপর প্রতিপদে নিজের বাড়িতেই খুন হলেন কৃষ্ণা দে। শুভেন্দুই কৃষ্ণার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। আর বিষ খেয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেন। খাস কলকাতার হরিদেবপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা হয়েছিল সম্পর্কের দড়ি টানাটানিতে। আর তার জেরেই বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী। তারপর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন স্বামীও। আশঙ্কাজনক তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এবার দু’‌জনেরই মৃত্যু হয়েছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। হরিদেবপুরে এই ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম শুভেন্দু দাস। তাঁর বাড়ি, হরিদেবপুর থানার সোদপুরের ডাক্তারবাগান এলাকায়। পেশায় শুভেন্দু ছিলেন অটোচালক। টালিগঞ্জ থেকে বেহালা–চৌরাস্তা রুটে অটো চালাতেন। এক বছর আগে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছিল শুভেন্দু–কৃষ্ণার।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ সম্পর্ক যখন তলানিতে ঠেকেছিল তখন কৃষ্ণার পরিবারের পক্ষ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করা হয়েছিল। এদিন রাত ১০টা নাগাদ শুভেন্দু কৃষ্ণার বাড়িতে আসেন। আর কৃষ্ণার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। তারপর তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন শুভেন্দু বলে অভিযোগ। কৃষ্ণার চিৎকার শুনে তাঁর কাকা ধাক্কা দিয়ে ঘরের ভিতর ঢুকে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কৃষ্ণা এবং শুভেন্দুর হাতে ধারাল অস্ত্র। তখনই বিষপান করেন শুভেন্দু। তাঁর মুখ থেকে ফেনা বেরোতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন:‌ দুর্গাপুজোর মণ্ডপে আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা, তোলপাড় কাণ্ড ঘটল কোন্নগরে

পুলিশ ঠিক কী তথ্য পেল?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘড়িতে তখন ১০টা ১৫ মিনিট। পুলিশের কাছে খবর আসে খুনের। নিহত গৃহবধূর নাম কৃষ্ণা দে (২০)। আর স্বামীর নাম শুভেন্দু দাস (‌৩০)‌। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় দুটি দেহ পড়ে আছে। এদিন রাতে সোদপুরের রামকৃষ্ণ নগরের ডলি ভিলায় শ্বশুরবাড়িতে যান শুভেন্দু দাস। স্ত্রী কৃষ্ণাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে খুন করেন। আর নিজেও বিষ খান। দু’‌জনকেই উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু হাসপাতালে কৃষ্ণাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বেশি রাতে শুভেন্দুরও মৃত্যু হয়। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।