Durga Puja without permission: অনুমোদন ছাড়াই কীভাবে পুজো হচ্ছে? পুলিশের ভূমিকায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

অনুমোদন ছাড়াই শহরে অনেক পুজো হচ্ছে। পুলিশ কেন সেগুলি বন্ধ করতে পারেনি? তা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি অনুমোদনহীন পুজো বন্ধ করতে না পারলে নতুন পুজোরই বা কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্ট। হিন্দু সেবা দল নামে একটি সংগঠনের নতুন দুর্গাপুজোর আবেদন সংক্রান্ত মামলায় এই প্রশ্ন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

আরও পড়ুন: দুর্গামূর্তির গায়ে ৫৫ কেজির রুপো! বাঙালি শিল্পী সাজালেন কোন রাজ্যের প্রতিমা

জানা গিয়েছে, সিআইটি রোডের রামলীলা ময়দানে নতুন দুর্গাপুজো করতে চাইছে হিন্দু সেবা দল। কিন্তু তাদের সেই পুজোর জন্য অনুমোদন দেয়নি পুলিশ। তাই পুলিশের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এই সংগঠন। প্রথমে মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। পুলিশ সেই সময় দাবি করেছিল, ২০০৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকা মেনে কোনও নতুন পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে সেইসময় বিচারপতি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ গঠনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। পরে সংগঠনটি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। সেইসময় মামলা ওঠে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে। 

সেই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল। একইসঙ্গে পুলিশকে এই আবেদন বিবেচনা করার করতে বলেছিল। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, কয়েকশো নতুন আবেদন জমা পড়েছে। সেক্ষেত্রে এই পুজোর অনুমতি দিলে বাকিদের বঞ্চিত করা হবে। এছাড়া পুলিশের যুক্তি ছিল, সিআইটি রোডে প্রচুর যান চলাচল করে। ফলে সেখানে পুজোর অনুমতি দিলে ব্যাপক যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। তবে ডিভিশন বেঞ্চ পুজোর অনুমতির বিষয়টি  বিবেচনা করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল। 

কিন্তু, তারপরও হাইকোর্টের নির্দেশ বিবেচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলে সংগঠনটি। মামলা ওঠে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাস। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কলকাতায় একাধিক নতুন পুজো হচ্ছে। তাহলে সেক্ষেত্রে পুজো কেন বন্ধ করা হচ্ছে না। এই কথা শোনার পরে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সেক্ষেত্রে কীভাবে অনুমোদন ছাড়াই পুজো চলতে পারে? তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন তিনি। একইসঙ্গে অনুমতিহীন পুজোগুলি বন্ধ করার জন্য পুলিশ কেন পদক্ষেপ করছে না? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এ নিয়ে আগামিকাল ফের মামলার শুনানি রয়েছে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী নির্দেশ দিতে পারেন বিচারপতি।