Justice Bhat disagrees with CJI: ‘CJI-এর সঙ্গে সহমত নই’, সমলিঙ্গে বিবাহ মামলার রায়ে বললেন সুপ্রিম বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট

আজকে সমলিঙ্গে বিবাহের আইনি বৈধতার পাশাপাশি বিবাহ সমতা নিয়ে মামলারও রায়দান করে সুপ্রিম কোর্ট। এই সময়ে বিশেষ বিবাহ আইন নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ পেশ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তবে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেন সাংবিধানিক বেঞ্চের অপর এক সদস্য। যে সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে সমলিঙ্গে বিবাহের মামলাটির শুনানি হয়, তাতে আছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমা। তাঁদের মধ্যে বিচারপতি ভাট আজকে নিজের রায়দান দেওয়ার সময় বলেন, বিশেষ বিবাহ আইন নিয়ে প্রধান বিচারপতি যে নির্দেশ দিয়েছে, তার সঙ্গে আমি সহমত নই। (আরও পড়ুন: ‘শহুরে ধারণা নয় সমকামিতা… বিয়েকে অপরিবর্তনীয় প্রতিষ্ঠান বলা ভুল’, যা বললেন CJI)

বিচারপতি ভাট বলেন, ‘আদালত সমকামী দম্পতিদের জন্য একটি সামাজিক বা আইনি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে না। বিয়ে করার ক্ষেত্রে কোনও অযোগ্য অধিকার নেই। এর ফলে রাষ্ট্রকে যে সেই বিয়েকে স্বীকৃতি দিতে হবে এমনটা নয়। তবে সংবিধানের ২১ নং ধারা অনুযায়ী আমাদের সকলেরই জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে এবং সেই সঙ্গীর সঙ্গে গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারও সংবিধানের দ্বারা সুরক্ষিত।’ প্রসঙ্গত, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি আজ বলেন, ‘সমকামি বিবাহকে স্বীকৃতি দেয় না বলে বিশেষ বিবাহ আইনকে অসাংবিধানিক বলতে পারে না এই আদালত। এছাড়াও, বিবাহের একটি নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে সংসদ বা রাজ্যের বিধানসভাগুলিকে বাধ্য করতে পারে না আদালত।’ বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, বিবাহকে স্থির এবং অপরিবর্তনীয় প্রতিষ্ঠান বলা ভুল। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট বাতিল করা হলে তো দেশ প্রাক-স্বাধীনতার যুগে ফিরে যাবে।

এদিকে বিচারপতি চন্দ্রচূড় আজ বলেন, সমান অধিকার তখনই নিশ্চিত হবে যখন কোনও ব্যক্তিকে তাঁর যৌনতার ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার হতে হবে না। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যৌনতার ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য করা যায় না। সমকামি ব্যক্তি সহ সকলেরই নিজেদের জীবনের নৈতিক মান বিচার করার অধিকার রয়েছে। একজন ব্যক্তির যৌনতা তার লিঙ্গের মতো নাই হতে পারে। কোনও রূপান্তরকামী পুরুষ চাইলেই কোনও মহিলাকে বিয়ে করতে পারবেন। একজন বিবাহিত নারী-পুরুষ যে সব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন, তা যদি সমকামি ব্যক্তি না পান, তাহলে তা তাঁর মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে। CARA সার্কুলার বলে সমকামি দম্পতি শিশু দত্তক নিতে পারবে না। এটা সংবিধানের ১৫ নং অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।’