Canada’s Warning to Citizens in India: ভারতে ভয় দেখানো বা হয়রানি করা হতে পারে, নাগরিকদের সতর্ক করল কানাডা

ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে কানাডার। এই আবহে ভারতের দাবি মেনে দেশ থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে কানাডা। এই আবহে কানাডা সরকার নিজেদের নাগরিকদের উদ্দেশে একটি সরর্ক বার্তা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতে থাকাকালীন কানাডার নাগরিকদের ভয় দেখানো হতে পারে বা তাঁরা হেনস্থার শিকার হতে পারেন। এদিকে চণ্ডীগড়, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুর কনসুলেটে ব্যক্তিগত পরিষেবা আপাতত স্থগিত করেছে কানাডা। তবে কোনও কানাডার নাগরিক সমস্যায় পড়লে দিল্লিতে কানাডার হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই খলিস্তান ইস্যুতে ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের গ্রাফ নিম্নগামী। এরই মাঝে আবার কানাডা নিবাসী খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা হয় সারে অঞ্চলের একটি গুরুদ্বারে। সেই হত্যাকাণ্ডে ভারত যোগের অভিযোগ তুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। যার পরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। ফলস্বরূপ দুই দেশই একে অপরের কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। আর সম্প্রতি ভারতের তরফে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছিল। এর জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। ভারতের নির্ধারিত সময়সীমার আগেই কানাডা তাদের ৪১ জন কূটনীতিককে ভারত থেকে সরিয়েছে বলে গতরাতে জানান কানাডার বিদেশমন্ত্রী। উল্লেখ্য, আজ, ২০ অক্টোবরের মধ্যেই ভারতে কানাডার কূচনীতিকদের সংখ্যা ৬২ থেকে কমিয়ে ২১ করতে বলেছিল ভারত। এই আবহে কানাডা চাপের মুখে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেছে তারা।

কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলেনি জলি গতরাতে বলেন, ‘২০ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে নিযুক্ত আমদের কূটনীতিকদের সংখ্যা ২১-এ নামিয়ে আনতে বলেছিল দিল্লি। একতরফা ভাবে এই অনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে আমরা কোনও ভাবেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে চাই না। তবে এই আবহে চণ্ডীগড়, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত কনসুলেটগুলিতে আমাদের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হচ্ছে।’ মেলানি দাবি করেন, ২১ জন কূটনীতিক এবং তাঁদের পরিবার ছাড়া বাকি সব কানাডিয়ান কূটনীতিক এবং পরিবারের ‘কূটনৈতিক রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার করেছিল দিল্লি। এর জেরে সেই কূটনীতিক এবং তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল। ভারতের এই পদক্ষেপের জেরে আমাদের কূটনীতিকদের সেই দেশ থেকে সরাতে হয়েছে। এদিকে কানাডার বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘যে সকল কূটনীতিককে দিল্লি এক্সপেল করল, তাঁদের সকলকেই এর আগে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত।’ দিল্লির প্রতি ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘এক তরফা ভাবে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ প্রত্যাহার আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। তবে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে কানাডা। তাঁর কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতে আরও বেশি সংখ্যক কূটনীতিকের প্রয়োজন ছিল আমাদের। তাহলেই আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতে পারতাম।’