ICMR Male Contraceptive: পুরুষদের জন্য কনট্রাসেপটিভ! ১৩ বছর কাজ করবে এমন ইনজেকশন তৈরি ভারতীয় বিজ্ঞানীদের

মহিলাদের জন্য গর্ভনিরোধক বড়ি বাজারে পাওয়া যায়, কিন্তু পুরুষদের জন্য এখনও এমন কোনও জিনিস পাওয়া যায়নি, যা অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ করতে পারে। কিন্তু এখন আইসিএমআর এই দিকে দারুণ সাফল্য পেয়েছে। এখন শুধু নারীরা নয় পুরুষরাও গর্ভনিরোধক নিতে পারেন। হ্যাঁ, পুরুষদের জন্য গর্ভনিরোধক ইনজেকশন আইসিএমআর-এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা পুরুষদের জন্য গর্ভনিরোধক বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত, যাতে সঙ্গীর গর্ভধারণ রোধ করা যায়। এদিকে, একটি সুখবর রয়েছে যে ICMR গত ৭ বছর ধরে পুরুষদের গর্ভনিরোধক নিয়ে গবেষণা করেছে এবং এখন এটিতে তাঁরা সাফল্য অর্জন করলেন। ICMR-এর তৈরি পুরুষ গর্ভনিরোধক ইনজেকশনটিকে নিরাপদ এবং কার্যকর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রিসাগ নামের এই নন-হরমোনাল ইনজেকশনযোগ্য গর্ভনিরোধক যা গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে সফল হয়েছে। ৩০৩ জন পুরুষ এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন। বলা হচ্ছে পুরুষদের জন্য এটিই প্রথম সফল গর্ভনিরোধক, যা দীর্ঘ সময় সঙ্গীর গর্ভধারণকে আটকাতে পারে।

(আরও পড়ুন: বেশি ঘামলেও দুর্গন্ধ হয় না অনেকের গায়ে, আবার উল্টোটাও সত্যি! কেন জানেন)

রিসুগ ইনজেকশন তৈরির জন্য ৭ বছর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। আসলে, ICMR-এর সফলভাবে RISUG পরীক্ষা করতে বেশ কয়েক বছর লেগেছিল। ICMR তার গবেষণার জন্য ৩০৩ জন্য সুস্থ পুরুষকে এই ইনজেকশন দিয়েছিল এবং ৭ বছর ফলোআপের পর এই সিদ্ধান্তে এসেছে। এই ইনজেকশনটি একটি নন-হরমোনাল ইনজেকশনযোগ্য গর্ভনিরোধক। শুক্রাণুর এই বিপরীতমুখী বাধা (RISUG) নিরাপদ এবং কার্যকর। আন্তর্জাতিক ওপেন এক্সেস জার্নাল অ্যান্ড্রোলজিতে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।

এই ইনজেকশনটি গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে ৯৯ শতাংশ কার্যকর বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই ইনজেকশনটি গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে খুবই ভালো কাজ করছে। বিশেষ করে, লোকেরা এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করেনি। পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের উপরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করা হয়, এর জন্য যেসব পুরুষকে এই ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল তাদের স্ত্রীদের চেকআপ করা হয়েছিল।চেকআপে সেই পুরুষদের স্ত্রীদেরও কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

(আরও পড়ুন: কিডনি ভালো রাখতে চান? এই খাবার খেলে তরতরিয়ে হ্রাস পাবে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা)

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৩ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এর প্রভাব। এর অর্থ হল একবার ইনজেকশন দেওয়া হলে এটি ১৩ বছর কাজ করতে থাকবে। চিকিৎসক এম ওয়ালি এবং অরুণ গুপ্তা জানিয়েছেন যে, শুক্রাণু নালীতে ইনজেকশন দেওয়া হবে এবং এটি প্রয়োগ করার আগে, ব্যক্তিকে লোকাল অ্যানাসথেশিয়া দেওয়া হয়। এর পরে শুক্রাণুর নালীতে ইনজেকশন দেওয়া হয়। ইনজেকশনের পরে, উচ্চ চার্জযুক্ত পলিমার শুক্রাণু নালীর ভিতরের প্রাচীরের সঙ্গে লেগে থাকে, তারপর যখন পলিমার শুক্রাণুর সংস্পর্শে আসে, তখন এটি ধ্বংস করে দেয়। এই কারণে, এটি আর ডিম নিষিক্ত করতে সক্ষম হয় না।