Aditya L1: লক্ষ্যের পথে আদিত্য এল ১, সূর্যের রহস্যময় দিক কী কী? হদিশ দিলেন IIT এর বাঙালি বিশেষজ্ঞ

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর ‘আদিত্য এল১’ সদ্য তার গন্তব্যের পথে রওনা হয়ে পর পর গণ্ডি সফলভাবে পার করে চলেছে। আদিত্য এল১ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে সূর্যকে ঘিরে নানান রহস্যভেদ করার আশায় বুক বাঁধছে ইসরো… বুক বাঁধছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চা ক্ষেত্র। আমরা কতটা জানি সূর্য সম্পর্কে? কোন কোন রহস্যময় ঘটনা সূর্যকে ঘিরে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে? এই সূর্যবিজ্ঞানের গবেষণায় আর্যভট্টের দেশ ভারতকে কতটা এগিয়ে রাখবে ‘আদিত্য এল ১’? বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরলেন আইআইটি কানপুরের অধ্যাপক তথা সূর্যবিজ্ঞান গবেষক ডঃ গোপাল হাজরা। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে প্রাথমিক শিক্ষার ধাপ পেরিয়ে অধ্যাপক হাজরার গবেষণা ক্ষেত্র হয়ে ওঠে অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স। HT বাংলার সঙ্গে আলোচনায় তিনি তুলে ধরলেন সূর্য রহস্যের নানান দিক।

১) আদিত্য এল১ মূলত কোন উত্তর খুঁজছে?

সূর্য সম্পর্কে অনেকগুলো জিনিস আমরা জানি না। তারমধ্যে, একটি হচ্ছে ‘করোনাল হিটিং প্রবলেম’ এর কিছু দিক। আগেই বলে রাখি, করোনা হল সূর্যের বাইরের স্তর। এবার আসা যাক পদার্থবিদ্যার চিরাচরিত থিওরিতে। সেই থার্মোডায়নামিক্সের থিওরি অনুযায়ী, উচ্চ তাপমাত্রার এলাকা থেকে নিম্ন তাপমাত্রার এলাকার দিকে তাপপ্রবাহিত হয়। কিন্তু, সূর্যের ভিতরের স্তর থেকে সূর্যের বাইরের স্তরের দিকে যত যাওয়া যায়, তত তাপমাত্রা বাড়ে। এই তাপমাত্রার তারতাম্য প্রায় হাজার গুণ। এটি কেন হচ্ছে? খোঁজ করবে আদিত্য এল ওয়ান।

এছাড়াও সৌরচক্রের প্রতিটি চক্র গড়ে ১১ বছর ধরে থাকে। তার মধ্যে সূর্যের দুটি অবস্থা থাকে। একটি হল সক্রিয় ও অপরটি নীরব। সক্রিয় অবস্থায় সূর্যে বহু সৌরকলঙ্ক থাকে। আর শান্ত অবস্থায় সেই সৌরকলঙ্ক কমে। এবার আসা যাক, ১১ বছরে সৌর চক্রের দিকে। এই সৌরচক্রের মধ্যে সূর্য সক্রিয় অবস্থায় বহু সৌরঝড় নিয়ে আসে। সেই সময় বহুল পরিমাণে প্লাজমা নির্গত হতে থাকে। সূর্যের পৃষ্ঠতল থেকে প্লাজমার বিস্ফোরণ হয়। তা চলতে চলতে পৃথিবী পর্যন্ত সফর করে। এটিই হল ‘করোনাল মাস ইজেকশন’। এর উৎপত্তি কোথা থেকে? কীভাবে তা আরেকটি গ্রহের দিকে যাচ্ছে?এই সমস্ত ঘটনার পদার্থগত উৎস (ফিজিক্যাল অরিজিন) কী? এগুলো বুঝতে আদিত্য এল ১ সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সম্পর্কে তথ্য আসতে থাকলে তা সূর্যকে কেন্দ্র করে গবেষণায় খুব বড় সাহায্য হতে পারে। আর, সূর্য থেকে আমরা কিছু বিকিরণগত বিস্ফোরণ (সোলার ফ্লেয়ার) দেখতে পাই। ওই বিস্ফোরণ ঘিরে অতিবেগুনি রশ্মি ও তার ‘ওয়েভলেন্থ রেঞ্জ’ সৌর বিকিরণ (সোলার রেডিয়েশন) প্রভাব সংক্রান্ত যে গবেষণা, তা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে করা কিছুটা চ্যালেঞ্জের। তবে আদিত্য এল ১ যে পয়েন্টে যাচ্ছে, সেখান থেকে সেই খোঁজ করাটা কার্যকরী হবে। এক্ষেত্রে, আদিত্য এল ১ -এ থাকা এসইউইট ( সোলার আলট্রা ভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ) খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে আদিত্য এল১ এর তরফে। এছাড়াও সৌরবায়ু সম্পর্কে বুঝতেও আদিত্য এল ১ এর পাঠানো তথ্য সাহায্য করবে। এছাড়াও মহাকাশের আবহাওয়াগত কিছু বিষয় বুঝতেও সাহায্য করবে আদিত্য এল১।

২) আপনার গবেষণার ক্ষেত্রটি কী? আদিত্য এল ১ সাফল্য পেলে, তা আপনার গবেষণার ক্ষেত্রটিকে কীভাবে সমৃদ্ধ করতে পারে?

আমার গবেষণার বেশ কয়েকটি দিক রয়েছে। সূর্য আর পৃথিবীর যে সম্পর্ক,… ধরুন তারমধ্যে থাকা মানে সৌরঝড় প্রসঙ্গ, ‘করোনাল মাস ইজেকশন’ এগুলি আমাদের পৃথিবীকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। সেই জায়গা থেকে সূর্য-পৃথিবীর এই সম্পর্কের নিরিখে আমি সদ্য এক্সো প্ল্যানেট নিয়ে গবেষণা করেছি। এই এক্সো প্ল্যানেট হল, অন্য এক নক্ষত্র-জগতে একটি তারাকে কেন্দ্র কে যে গ্রহ ঘুরছে সেগুলি। আর সেগুলির আবহাওয়া ও তারাটির সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন হতে পারে তা নিয়েও ছিল আমার কিছু কাজ। বর্তমানে সূর্য-পৃথিবীর সম্পর্ক নিয়ে আমার কাজ এখনও চলছে। আমি সেই দিক থেকে অবশ্যই আদিত্য এল১ এর তথ্যের দিকে তাকিয়ে। এছাড়াও সূর্যের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের সক্রিয়তা ও চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের চক্র (ম্যাগনেটিক সাইকেল) সম্পর্কে গবেষণা চলছে। এই সব কর্মকাণ্ডের খুব অদ্ভূত সমস্ত জটিল ব্যাপার আছে, যে রহস্যের খোঁজ এখনও চলছে। আমার গবেষণার ক্ষেত্রে ‘স্পেস ওয়েদার’, বিকিরণ-বিস্ফোরণ (সোলার ফ্লেয়ার),সৌর ঝড়ের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের ক্ষমতা তার সঙ্গে জড়িত কিছু দিক, এগুলো নিয়ে তাকিয়ে রয়েছি আদিত্য এল ওয়ানের পাঠানো তথ্যের দিকে। এছাড়াও, করোনাল মাস ইজেকশন কি পৃথিবীর দিকে আসছে? এই প্রশ্ন সামনে রেখে তার তাপমাত্রার পদার্থগত দিকের খোঁজ নিয়ে আদিত্য এল ১ কী পাঠাচ্ছে, সেদিকে থাকবে নজর। এজন্য আদিত্য এল ১ এর একটি অংশ ভিইএলসি (ভিজিবল ইমিশন লাইন করোনাগ্রাফ) কী পর্যবেক্ষণ করছে, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কিছু গবেষণা আরও নিখুঁতভাবে করার দিকটি প্রসারিত হবে।

৩)আদিত্য এল১ এর সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে?

করোনাল মাস ইজেকশন যদি খুব শক্তিশালী হয়, তাহলে তা যানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, এমনটা আঁচ করে আগে থেকেই আদিত্য এল ১ নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ‘শিল্ড’করা হয়েছে। আদিত্য এল১ এর সফরের মূল বিষয়টি হল, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব কাটিয়ে দিয়ে সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় যাওয়া। এটা অনেকটা সুঁতোতে ঢিল বেঁধে ঘুরিয়ে যেভাবে তা দূরে ফেলা হয়, অনেকটা সেই বিষয়টি দিয়ে এই ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। তবে সদ্যই আদিত্য এল ১ এই সফরে তার একটা বড় ধাপ পার করেছে। আদিত্য এল১, এখন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ পার করে এল ১ পয়েন্টের দিকে যাচ্ছে। সেখানে সঠিকভাবে স্থাপিত হওয়াটা একটা চ্যালেঞ্জ বলা যেতে পারে, তবে আমি খুবই নিশ্চিত যে, ইসরো এতে সাফল্য পাবে।

চন্দ্রযান ৩ এর যাত্রার থেকে কি আদিত্য এল ১ এর যাত্রার বেশি জটিল?

মূলত, চন্দ্রযান ৩ এর ক্ষেত্রে বড় বিষয় ছিল সফ্ট ল্যান্ডিং। আর ইসরো এযাবৎকালে যে সমস্ত যান পাঠিয়েছে, সেখানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ছাড়িয়ে যানকে পরবর্তী কক্ষপথে স্থাপন করার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে। আদিত্য এল ১, এমন একটা পয়েন্টে থাকতে চলেছে, যেখানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আর সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ভারসাম্য থাকছে। ওটা একটা হ্যালো অরবিট। সেটির ক্ষেত্রেও নিঃসন্দেহে বহু বিষয় নিহিত রয়েছে,তবে, চন্দ্রযান ৩ এর যাত্রার সঙ্গে আদিত্য এল ১ এর যাত্রার তুলনা করাটা হয়তো ঠিক হবে না। দুটির আলাদা আলাদা দিক রয়েছে।

৪)সূর্যের তাপমাত্রা সংক্রান্ত গবেষণায় কী কী বাধা বার বার উঠে আসে?

এটা দারুন প্রশ্ন। ব্যাপার হল, এই সূর্যে তাপমাত্রার গবেষণার ক্ষেত্রে কী কী চ্যালেঞ্জ আসবে, তা কাটাতেও আলাদা করে কিছু পড়াশোনা করে নিতে হয়। ‘করোনাল হিটিং’ নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা চলছে। এক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার তো সুযোগ নেই, তাই মহাশূন্য নির্ভর যন্ত্র (স্পেস ইনস্ট্রুমেন্ট) পাঠিয়ে আমরা যাচাই করার চেষ্টা করি যে, যে গবেষণা হচ্ছে বা থিওরি উঠে আসছে, সেগুলি কতটা ঠিক। সূর্য তো মূলত, প্লাজমার একটি গোলক…যেমন দুধ বা জল ফোটালে বুদবুদ দেখা যায় ওপরে, তেমনই প্লাজমা, সূর্যের পৃষ্ঠতলে ফুটতে থাকে, সেখানে প্লাজমা ব্লব (প্লাজমার অংশ বিশেষ ) দেখা যায়। প্লাজমা আর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের পারস্পরিক ক্রিয়ার জন্য, সূর্যের গভীরে শক্তি বেরিয়ে আসে করোনার (সূর্যের বাইরের স্তর) দিকে। কিন্তু এটা কীভাবে হচ্ছে?এর ক্ষেত্রে দুটি থিওরি বর্তমানে আলোচিত হচ্ছে। সূর্যের ভিতরে প্লাজমার এই তারতম্যের নানান দিক সেকেন্ডের মধ্যে হতে থাকছে। ফলে খুব কম সময়ের মধ্যে তা পর্যবেক্ষণ, পরিমাপ করতে হবে। তাকে পর্যবেক্ষণ করাও তাই বেশ চ্যালেঞ্জের। কিন্তু সূর্যের ভিতরের দিকের স্তরে ঘটমান বহু কিছুর পর্যবেক্ষণ সেভাবে নেই, ফলে স্থায়ী থিওরি পেতে তা কিছুটা বাধা তৈরি করে (এক্ষেত্রে প্লাজমার প্যারামিটার নিয়ে খোঁজ চলতে থাকে)। এছাড়াও সূর্যের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলি একে অপরের কাছে আসে কখনও, আবার কখনও দূরে যায়। এতে চৌম্বকীয় শক্তি পরিণত হয় বিকিরণ শক্তিতে। এটার ক্ষেত্রেও ঘুরে ফিরে সেই সূর্যের ভিতরের স্তরের প্লাজমার নানান দিকগুলির পরিমাপ উঠে আসে। যা নিয়ে থেকে যায় একটি চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে নিখুঁত পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে আদিত্য এল ১ এর ভিইএলসি খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

৫)সূর্য-রহস্যের কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের সামনে এখনও অজানা?

আমি যেটা বলব.. প্রথমত হচ্ছে করোনার হিটিং প্রবলেম, সৌরবায়ু আর ‘করোনাল মাস ইজেকশনে’র শুরুটা কীভাবে হচ্ছে? নেপথ্যের কারণ নিয়ে গবেষণা চলছে। সেই খোঁজ তো রয়েইছে। এছাড়াও একেবারে আনকোরা বলতে একটি দিক রয়েছে, সেইটি হচ্ছে সূর্যের মেরু। সূর্যের মেরু কীরকম দেখতে? সেখানের চৌম্বকীয় ক্ষেত্র কীরকম?…

এক্ষেত্রে সৌর-চক্রের কথা একটু বলি। নির্দিষ্ট সময় ধরে এই চক্র চলে, তো আগেই বললাম। আমরা ২০২৫ নাগাদ বর্তমান ২৫ তম সৌরচক্রের সক্রিয় ফেজ দেখতে পাব। সেই সময় সৌরকলঙ্ক বাড়বে, ফলে সূর্য সক্রিয় হবে, প্রচুর ‘করোনাল মাস ইজেকশন’ হবে। পৃথিবীকে প্রভাবিত করবে। আর এই পুরো সৌরচক্র কতগুলি সৌরকলঙ্ক নিয়ে আসবে, সৌরচক্র শক্তিশালী হবে কি হবে না, কেমন হবে সেই সৌর-চক্র! তা বুঝতে সূর্যের অভ্যন্তরীণ পদ্ধতিকে বুঝতে হবে। এই সংক্রান্ত নানান বিষয়ের স্পষ্ট ছবি এখনও নেই।

৬)সূর্য আর আদিত্য এল১ এর মধ্যে দূরত্ব কতটা থাকতে চলেছে? একে শতাংশের বিচারে বলতে গেলে কীভাবে ব্যাখ্য়া করবেন?

পৃথিবী থেকে এলওয়ানের দূরত্ব হচ্ছে ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার। আর পৃথিবী থেকে সূর্য হচ্ছে ১৫০.২৫ মিলিয়ন কিলোমিটার (প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার)। সূর্য আর পৃথিবীর মাঝে দূরত্বের নিরিখে, পৃথিবী থেকে এল ১ হচ্ছে, প্রায় ১ শতাংশ দূরে, আর সূর্য থেকে এল ১ হচ্ছে প্রায় ৯৯ শতাংশ দূরে।

৭)সূর্যবিজ্ঞান গবেষণায় আদিত্য এল ১ এর সম্ভাব্য সাফল্য ভারতকে এশিয়ায় কতটা এগিয়ে দিতে পারে?

এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, জাপান এই বিষয়ে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে। চিন একটি প্রকাণ্ড রেডিও টেলিস্কোপ বানিয়েছে। তবে, স্পেস অবজারভেটারিতে অবশ্যই ভারত নিজের ছাপ রাখতে চলেছে। যা দেশের গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় ধাপ।

৮) ভারতের সূর্যবিজ্ঞান গবেষণা ক্ষেত্রটি বিশ্বের নিরিখে কোন পর্যায়ে রয়েছে?

আমাদের ভারতে সূর্য সম্পর্কিত পদার্থবিদ্যা, বিশ্বে খুবই সমাদৃত। ভারত, এই আঙিনায় থিওরিটিক্যাল দিক থেকে যথেষ্ট অবদান রাখছে। আমাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স, উদয়পুর সোলার অবজারভেটারি, আর্যভট্ট রিচার্স ইনস্টিটিউট, এছাড়াও বিভিন্ন আইআইটি থেকে বহু গবেষণা হয়েছে। সূর্যের ‘করোনাল মাস ইজেকশন’ নিয়ে ‘ক্যাটালগ’ও আনা হয়েছে। তবে তথ্যের দিক থেকে বহু গবেষণায় এখনও কিছুটা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা, জাপানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র জাকসার ‘ওপেন সোর্স ডেটা’র উপর নির্ভরতা রয়েছে। সৌরকলঙ্ক পর্যবেক্ষণে প্রায় বহু দশক ধরে সাফল্যের সঙ্গে কাজ চলছে কোদাইকানাল অবজারভেটারি থেকে। সূর্য সংক্রান্ত পদার্থ বিজ্ঞানে গ্রাউন্ড নির্ভর পর্যবেক্ষণ, থিওরি, পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের নিরিখে ভারত কিন্তু বহু দেশকেই টক্কর দিচ্ছে। আমাদের ‘স্পেস বেসড অবজারভেটারি’ ছিল না, স্পেস ডেটা পেতে অন্য দেশের উপর নির্ভরতা চলছিল। এই জায়গাটা থেকে আদিত্য এল ১ আমাদের স্বয়ং সম্পূর্ণ করে তুলতে পারে। আমরা নিজেদের মতো করে এগোতে পারব গবেষণার দিক থেকে। দেশের গবেষণার ক্ষেত্রে এটি বড় বিষয়।