Ban on WhatsApp: অফিসের দেওয়া ফোনে হোয়াটস অ্যাপ করবেন না, কোনও মেসেজ নয়, কর্মচারীদের কড়া নির্দেশ ব্যাঙ্কে

এবার HSBC বড় সিদ্ধান্ত নিল। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে এবার এইচএসবিসি তাদের কর্মচারীদের যে ফোন দিয়েছে সেটা থেকে টেক্স মেসেজ করা যাবে না। তবে ব্যক্তিগত ফোন থেকে তিনি করতেই পারেন। কিন্তু তিনি কোনওভাবেই অফিসের ফোন থেকে কাউকে মেসেজ করতে পারবেন না। তবে হাতে গোনা কিছু কর্মচারীর এই সুযোগ থাকছে বলে খবর।

আসলে কিছুদিন আগে মার্কিন কমোডিটি ফিউচারস ট্রেডিং কমিশনের সঙ্গে একটি কেস হয়েছিল। সেখানে এইচএসবিসিকে সব মিলিয়ে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হয়। অনুমোদনহীন হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেল নিয়েও তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এমনকী এই ব্রিটিশ ব্যাঙ্ককে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হয়েছে। এখানেও তাদের বিরুদ্ধে অনুমোদনহীন হোয়াটস অ্যাপ ও অন্যান্য নথি সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।

আসলে সূত্রের খবর, যেটা দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্কের পদস্থ কর্তারা এসব করেছেন বলে অভিযোগ। তবে মূলত তাদের ব্যক্তিগত ডিভাইস থেকে তারা অনুমোদনহীন বার্তা পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর এই সব বার্তার ক্ষেত্রে তাদের কোনওভাবেই নজরদারি করা হয়নি।

ব্লুমবার্গের সূত্র বলছে এইচএসবিসির ওয়ার্ক ফোনে হোয়াটস অ্যাপকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার অফিসের ফোনে যেকোনও মেসেজ পাঠানোও বন্ধ করা হচ্ছে। ব্যাঙ্কের মুখপাত্র ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, একাধিক অনুমোদিত চ্যানেলকে ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য ব্যাঙ্কের মতোই HSBC তাদের কর্মচারীদের অফিসের ফোনে কী ধরনের বিষয় আদানপ্রদান করতে পারবে সেটা নির্দেশ দিতে পারে।

এমনকী কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ডিভাইসে যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থার ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য় আদানপ্রদান করা হয় ও সেটা নজরদারিতে সুরক্ষা সংক্রান্ত সংস্থা ব্যর্থ হয় তবে তাদের জরিমানা করারও সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে কার্লাইল গ্রুপ ও ব্ল্যাকস্টোনের মতো সংস্থা তাদের কর্মচারীদের হোয়াটস অ্য়াপ ও সিগন্যালে সংস্থা সম্পর্কিত তথ্য আদানপ্রদান হচ্ছে কি না সেটা খতিয়ে দেখে। এবার এইচএসবিসি তাদের কর্মচারীদের যে ফোন দিয়েছে সেটা থেকে টেক্স মেসেজ করতে বারণ করে দিল।