Kolkata police Q time: কোন মণ্ডপে কত ভিড়? জানিয়ে দিচ্ছে কলকাতা পুলিশের ‘কিউ টাইম’

মহালয়া থেকেই পুজো মণ্ডপগুলিতে ভিড় হতে শুরু করেছে। এবারের ভিড় সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ভিড় সামাল দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। রাস্তায় বাড়ছে যানজট। অনেকেই ভিড়ের মধ্যে প্রতিমা দর্শন পছন্দ করেন না। তাই ভিড় এড়িয়ে যাতে দর্শনার্থীরা যাতে পুজো দেখতে পারেন তার জন্য এ বছর বিশেষ সুবিধা চালু করেছে কলকাতা পুলিশ। কোন মণ্ডপে পুজো দেখতে কত সময় লাগছে? তা এবার সরাসরি দেখা যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের ‘কিউ টাইম’ থেকে। কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে চলছে এর লাইভ স্ট্রিমিং। এই সময় দেখেই আঁচ করা যাচ্ছে, কোন মণ্ডপে কতটা ভিড়।

আরও পড়ুন: আগামিকাল মহা সপ্তমী, জেনে নিন পুজোর মন্ত্র, নির্ঘণ্ট এবং অঞ্জলীর সময়

চেতলা অগ্রণী, দেশপ্রিয় পার্ক, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থেকে শুরু করে টালা প্রত্যয়, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বড় বড় পুজো দেখতে কত সময় লাগছে? তা কলকাতা পুলিশের কিউ টাইম থেকে সরাসরি জানা যাচ্ছে। তা দেখে ভিড়ের আন্দাজ করতে পারছেন দর্শনার্থীরা। কিউ টাইমের সন্ধ্যা ৭:৫০ টার আপডেট অনুযায়ী, এখন সবচেয়ে বেশি সময় লাগছে দেশপ্রিয় পার্কের পুজো দেখতে। সেখানে মণ্ডপে ঢুকে সময় লাগছে প্রায় ২১ মিনিট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলেজ স্কোয়ারের পুজো। সেখানে মণ্ডপে ঢুকতে ১৮ মিনিট সময় লাগছে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে সময় লাগছে ১৭ মিনিট। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে ঢুকতে সময় লাগছে ১৫ মিনিট। শিব মন্দিরের পুজোতেও একই সময় লাগছে। অন্যদিকে, টালা প্রত্যয়ের পুজো দেখতে সময় লাগছে ১৪ মিনিট, সেখানে সুরুচি সংঘের পুজো দেখতে সময় লাগছে ১৩ মিনিট। 

এই মুহূর্তে কুমোরটুলি পার্কের পুজোতেও বেশ ভিড় রয়েছে। সেখানে মণ্ডপে ঢুকতে সময় লাগছে ১১মিনিট। সিংহী পার্কের পুজো দেখতে সময় লাগছে ৯ মিনিট। ত্রিধরা এবং মুদিয়ালী ক্লাবের পুজো দেখতে সময় লাগছে ৮ মিনিট। এই সমস্ত পুজোগুলিতে যথেষ্ট ভিড় থাকলেও তুলনামূলকভাবে নাকতলা উদয়ন সংঘ, বাগবাজার সর্বজনীন, একডালিয়া এভারগ্রিন এবং বাবু বাগানে কম ভিড় রয়েছে। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে কয়েক মিনিট পরপর এ বিষয়ে আপডেট করা হচ্ছে ফলে সে ক্ষেত্রে মণ্ডপগুলিতে পুজো দেখার সময়ও পরিবর্তন হচ্ছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন রাস্তায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অটো, বাস। এই অবস্থায় সপ্তমী থেকে নবমীতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করাটাই কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।