Vande Bharat Express in Tripura: এবার ত্রিপুরাতেও পৌঁছবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বড় ঘোষণা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

ত্রিপুরাতে শীঘ্রই বন্দে ভারত ট্রেন চালু হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিকে অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানান, ২০২৪ সালের মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরে চালু হবে বন্দে ভারত ট্রেন। এর আগে এই বছরের শেষের দিকেই রেল চলাচল শুরু হয়ে যেতে পারে উধমপুর-শ্রীনগর লাইনে। এই আবহে রেলমন্ত্রী জানালেন, কাশ্মীরে যে বন্দে ভারত ছুটবে, সেটি হবে বিশেষ ডিজাইনের। এদিকে ত্রিপুরার সব রেল লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হলেই সেই রাজ্য পর্যন্ত বন্দে ভারত ট্রেন চালু হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রসঙ্গত, উত্তরপূর্বে এখনও পর্যন্ত মাত্র একটাই বন্দে ভারত ট্রেন চলে। এনজেপি থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত ছোটে সেই ট্রেন। ত্রিপুরা পর্যন্ত নতুন বন্দে ভারত ট্রেন চালু হলে উত্তরপূর্বের রেলযাত্রীরা আরও উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রেলমন্ত্রী জানান, এবারে একেবারে শ্রীনগর পর্যন্ত ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। উল্লেখ্য, এর আগেই চালু হয়েছিল দিল্লি-কাটরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ফলে বৈষ্ণোদেবী যাওয়া অনেকটাই সহজ হয়েছিল। তবে কাশ্মীর যেতে হলে কাটরায় নেমে অন্য কোনও মাধ্যমে ভ্রমণ করতে হত। তবে এবার শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন পৌঁছে যাবে। সেই লাইনেই ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও। সেখানকার আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে জম্মু-শ্রীনগর লাইনে ছুটতে চলা বন্দে ভারতের ডিজাইনে বদল আসবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেলওয়ে প্রকল্পের অধীনে বেশ কয়েকটি উঁচু রেলব্রিজ রয়েছে। এই আবহে ভূপৃষ্ঠের বহু ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রবল গতিতে ছুটবে বন্দে ভারত ট্রেন। তাই যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু বদল আনা হবে এই রুটের রেকে।

এদিকে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়েই কলকাতা পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের জন্য সম্প্রতি ১৫৩.৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। এই রেললাইনের কাজ সম্পন্ন হলে কলকাতা থেকে ত্রিপুরার আগরতলায় যেতে অনেক কম সময় লাগবে রেলপথে। বর্তমানে কলকাতা থেকে রেলপথে ত্রিপুরা যেতে প্রায় ৩১ ঘণ্টা লাগে। কারণ সেই ট্রেন উত্তরবঙ্গ, অসম হয়ে ত্রিপুরায় গিয়ে পৌঁছায়। তবে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে যদি কলকাতা ও আগরতলার মধ্যে ট্রেন পরিষেবা চালু হয়, তাহলে এই যাত্রার জন্য সময় লাগবে মাত্র ১০ ঘণ্টা। জানা গিয়েছে রেললাইনটি বাংলাদেশের আখাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশনকে নিশ্চিন্তপুরের একটি আন্তর্জাতিক অভিবাসন স্টেশনের মাধ্যমে আগরতলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।