Pak spy arrested: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি! ধৃত ২০০৬–এ ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তি

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৫৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল গুজরাট অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার আনন্দ জেলার তারাপুর থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এটিএস। ওই ব্যক্তির নাম লাভশঙ্কর মহেশ্বরী । ধৃত একজন পাক বংশভূত। ২০০৬ সালে ভারতের ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিল ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপে ট্র্যাকিং ম্যালওয়্যার পাঠিয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মীদের উপর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাকে গুপ্তচরবৃত্তিতে সাহায্য করে আসছিল ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: এদেশের ছবি–ভিডিয়ো পাঠিয়ে মোটা টাকা রোজগার করত পাক চর,‌ যোগ হানিট্র্যাপেও

জানা গিয়েছে, তারাপুরে মহেশ্বরীর একটি মুদির দোকান রয়েছে। মহেশ্বরী পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের একটি ভারতীয় সিম কার্ড অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করেছিল। ওই সিম কার্ডটি সেনা স্কুলে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মীদের ফোন হ্যাক করতে ব্যবহার করা হয়েছিল। এটিএস জানিয়েছে, মহেশ্বরী তার পরিবারের সদস্যদের দেশে ভিসা পাওয়ার জন্য পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সাহায্যের বিনিময়ে এই কাজ করেছিল। মহেশ্বরীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১২৩ ধারা, এবং ১২১ এ ধারায় (সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র) এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছে।

গুজরাট এটিএসের পুলিশ সুপার ওম প্রকাশ জাট বলেন, তার লক্ষ্য ছিল প্রতিরক্ষা কর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে তাদের ফোনে ম্যালওয়্যার পাঠানো এবং তা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। এই সিমটি আজমগরের এক বাসিন্দার নামে চালু হয়েছিল। সিম কার্ডটি এরপর পৌঁছে দেওয়া হয় মহেশ্বরীর কাছে। তাকে সিম কার্ডটি নিতে বলেছিলেন পাকিস্তানের দূতাবাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি।ওই সিম কার্ড থেকে যাবতীয় তথ্য পাকিস্তানে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল তার।

জানা গিয়েছে, লাভশঙ্কর দুর্যোধন মহেশ্বরী ১৯৯৯ সালে চিকিৎসার জন্য পাকিস্তান থেকে স্ত্রীর সঙ্গে গুজরাটের আনন্দ জেলার তারাপুর শহরে এসেছিল। এরপর ওই ব্যক্তি আর পাকিস্তানে ফেরেনি। এখানে এসে ব্যবসা শুরু করে। ২০০৬ সালের প্রথম দিকে মহেশ্বরী ভারতীয় নাগরিকত্ব পায়। এটিএস জানতে পেরেছে তার অনেক আত্মীয় এখনও পাকিস্তানে রয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার, গুজরাট এটিএস তাকে পাকিস্তানি এজেন্টদের ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য প্রদানে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করে।