স্বামীর সঙ্গে পুজো দেখতে বেরিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটাল স্ত্রী। চলন্ত বাইকের পিছনে বসেই স্বামীর গলায় ছুরি চালিয়ে খুনের চেষ্টা করল স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তেহট্ট থানার পলাশী পাড়া এলাকায়। আহত ব্যক্তির নাম সুকান্ত পাল এবং তাঁর অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম হল সন্ধ্যা পাল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত স্ত্রী সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন খড়দায়, তারপরই আত্মঘাতী স্বামী, তদন্তে নামল পুলিশ
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একরত্তি সন্তানকে নিয়ে স্বামী–স্ত্রী দুজনে মিলে বাইকে করে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল। এরপর বাড়ি ফেরার সময় চলন্ত বাইকে বসেই স্বামীর গলায় ধারাল অস্ত্র চালিয়ে দেয় সন্ধ্যা। আচমকা এই হামলার পরেই বাইক নিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে যান সুকান্ত। তখন স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্ত্রী। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় সুকান্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সুকান্ত বাইক থেকে পড়ে যাওয়ার পর প্রথমে স্থানীয়রা সেটা বুঝতে পারেননি। তারা ভেবেছিলেন, বাইক থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে তার শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। পরে তারা জানতে পারেন, আসল ঘটনা। আহত সুকান্ত নিজেই তাদের জানান, তার স্ত্রী তাকে খুনের চেষ্টা করেছে।সুকান্তর দাবি, বাইকের পিছনে তার স্ত্রী সন্তান কোলে নিয়ে বসেছিল। সেই অবস্থাতেই সন্ধ্যা তার গলায় ছুরি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে ঘটনার পরে লোকজনকে দেখে সন্ধ্যা সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কী কারণে খুনের চেষ্টা? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বাইক থেকে পড়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা যখন সুকান্ত উদ্ধার করে তখন তিনি জানান, তার স্ত্রী তার উপর হামলা চালিয়েছিল। সুকান্তকে প্রথমে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের দাবি যে সন্ধ্যার সঙ্গে এক বছর আগে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। তবে সেটা এক বছর আগেকার ঘটনা। তার মধ্যে এরকম কাণ্ড কেন ঘটাল সন্ধ্যা? তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। আপাতত কেন ওই মহিলা এই ধরনের কাজ করেছে? তা জানার জন্য পুলিশ ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বিধায়ক তাপস সরকার মহিলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে তেহট্ট থানার পুলিশ।