Theft in Nadia: ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল পরিবার, বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ১৫ লাখ টাকার দুঃসাহসিক চুরি দুষ্কৃতীদের

শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সেই আনন্দে গা ভাসিয়েছে আপামর বাংলার মানুষ। কলকাতা থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় রাত জেগে চলছে দেবী দর্শন। কেউ বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আবার অনেকে সপরিবারেই প্রতিমা দর্শনে বেরিয়ে পড়ছেন। যার ফলে রাতে ফাঁকা থাকছে অনেক বাড়ি। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফাঁকা বাড়িতে হানা দিয়ে সব কিছু চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এমনই একটি দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটল নদিয়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার নিধিরপোতা এলাকায়। ওই বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও গহনা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে গয়নার দোকানের ছাদ ফুটো করে ২৫ কোটি টাকার মাল চুরি দুষ্কৃতীদের

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহাষষ্ঠীর রাতে। গতকাল মহাষষ্ঠী উপলক্ষে নিধিরপোতা এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র বারুই তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি তালা বন্ধ করে দুর্গা প্রতিমা দেখতে বেরিয়েছিলেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে ঠাকুর দেখার পর রাতে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। এরপর ভেতরে ঢুকলেই দেখতে পান, ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি আলমারি ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসীরা ওই বাড়িতে ছুটে যান। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে চোরেরা ভেতরে ঢুকে আলমারি ভেঙে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার সোনার গহনা সহ নগদ ৪০ হাজার টাকা ও বেশ কিছু বাসনপত্র নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ করেন বাড়ির মালিক নারায়ণ চন্দ্র বারুই।

এত বড় চুরির ঘটনায় কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছেন গৃহকত্রী পুষ্প বারুই। তিনি বলেন, ‘আমরা রাত ৮টা নাগাদ সপরিবারে পুজো দেখতে বেরিয়েছিলাম। ছেলে আমাদের সকলকে দুর্গা ঠাকুর দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল। রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে এসে দেখি আশেপাশের বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে। কিন্তু আমাদের বাড়িটি পুরো অন্ধকার আছে। এরপর ছেলে ছুটে গিয়ে দেখে ঘরের তালা ভাঙা। ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি গয়না, টাকা পয়সা যা ছিল সব চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। আমাদের একেবারে নিঃস্ব করে দিয়ে গিয়েছে।’ এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।