Dead body recover: ঘরে পড়ে স্ত্রীর রক্তমাখা দেহ, গাছে ঝুলছে স্বামীর দেহ, অষ্টমীর সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য

অষ্টমীর সকালে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আজ রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের সুতইলে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে স্ত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই নদীর পাড়ে একটি গাছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় স্বামীর। মৃতদের নাম হল ঝন্টু সরকার (৪০) এবং রাখি সরকার (৩৫)। প্রাথমিক তদন্তে, পুলিশের অনুমান স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন স্বামী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে আত্মহত্যা বলে দাবি, ধরিয়ে দিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দম্পতির বাড়ি তপন ব্লকের রামপাড়া চেঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুতইল এলাকায়। এদিন সকালে প্রথমে রাখির রক্তাক্ত মৃতদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তা দেখার পরেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। তখন ঝন্টুর খোঁজ করতে শুরু করেন। স্থানীয়রা অনেকেই তাঁকে ফোনে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। এরপর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নদীর কাছে একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। ঘটনায় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। ওই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে।  

কী কারণে এমন ঘটনা? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই দম্পতির মধ্যে কোনও অশান্তি হতো কিনা তা অবশ্য বলতে পারছেন না তাঁদের আত্মীয়-স্বজনরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে এর পিছনে অন্য রহস্য রয়েছে কিনা সেই সন্দেহও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, রাখি সরকারের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গোটা ঘরে রক্তের দাগ দেখতে পান তদন্তকারীরা। আবার তাঁদের আত্মীয়দের মতে কেউ তাঁদেরকে খুন করেছে। দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর জানা যাবে বাইরের কেউ তাঁদের খুন করেছিল কিনা। আপাতত তাদের মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল কিনা তা জানতে আত্মীয়দের পাশাপাশি স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।