ভৈরবে ট্রেন সংঘর্ষে আহত ৬ জনকে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়েছে

কিশোরগঞ্জের ভৈরব জংশনে ভয়াবহ ট্রেন সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একই পরিবারের (দুই শিশুসহ) পাঁচ জনসহ ছয় জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের একজন হাসপাতালে ভর্তি, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহতদের চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়। এর আগে সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরব জংশনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আহতরা হলেন–জীবন মিয়া (৪০), তার স্ত্রী গার্মেন্টসকর্মী খাদিজা বেগম (৩৫), মেয়ে তন্নিমা (১৫), দুই ছেলে জিয়াদ (১০) ও সোয়াদ (৮) এবং ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আবুল কাশেম (৫৫)।

সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেকের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন।

তিনি বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচ জনসহ ছয় জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে এসেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা ভালো। তবে শরীরে সামান্য জখম আছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে শিশু সোয়াদের বাম চোখে আঘাত রয়েছে। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা চলছে।

ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শোনার পর থেকেই জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত চিকিৎসক নার্স রাখা হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।

আহত জীবন মিয়া জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর মাথিয়া গ্রামে। তার স্ত্রী খাদিজা নারায়ণগঞ্জ ভুলতা গাউছিয়া একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সেখানেই থাকেন। তার স্ত্রীর এক ভাই দেশের বাহিরে থাকতেন। সেখান থেকে গ্রামে এসেছিলেন। সে কারণেই দেখা করতে সপরিবারে গত পাঁচদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জে গিয়েছিলেন।

সোমবার ভুলতা গাউছিয়া আসার উদ্দেশ্যে গ্রাম থেকে রওনা দেন। সেখানে কচি হাটা রেলস্টেশন থেকে দুপুর দেড়টার দিকে এগারোসিন্ধুর গোধূলী ট্রেনে ওঠেন। পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় তারা একই পরিবারের ৫ জন আহত হন।