বাংলাদেশে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৩ জনের। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের ঢাকার প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কাছে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মালগাড়ির সঙ্গে এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেসের মুখোমুখি ধাক্কা হয়। তার জেরে এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেসের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। উলটে যায় কয়েকটি বগি। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। কাটা হচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেনের দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোচগুলি। একাধিক দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করছেন উদ্ধারকারীরা।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সেই ঘটনা ঘটেছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন যে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল এগারোসিন্ধু এক্সপ্রেস। বিকেল চারটে নাগাদ ভৈরব স্টেশনের আউটারে এগারোসিন্ধু এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে একটি মালবাহী ট্রেন। যে মালবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল চট্টগ্রামের দিকে। সেই দুর্ঘটনার জেরে এগারোসিন্ধু এক্সপ্রেস কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। উলটে যায় একাধিক বগি।
আরও পড়ুন: Bangladesh fan cries foul: ‘বাঘের তুলো বের করে দিল ভারতীয় ফ্যানরা, লেজ ধরে মারল আছাড়’, দাবি বাংলাদেশির
ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। বগি কেটে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। একাধিক দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভৈরব রেল থানার সাব-ইনস্পেক্টর মির্জা মহম্মদ মুক্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় পুলিশ অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।