Suvendu Adhikari: ‘কুণাল ঘোষের পুজোয় রাজ্যপালের যাওয়া উচিত হয়নি’ বললেন শুভেন্দু

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ সহ বিভিন্ন ইস্যুকে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। তবে উৎসবের আবহে যাবতীয় বিবাদ ভুলে গিয়ে অষ্টমীর সকালে সুখিয়া স্ট্রিটে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের পুজোয় হাজির হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার এ নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যপালের কুণাল ঘোষের পুজোয় যাওয়া নিয়ে আপত্তি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ওই পুজোয় রাজ্যপালের যাওয়া উচিত হয়নি।

আরও পড়ুন: অষ্টমীর সকালে কুণালের পাড়ার পুজোয় রাজ্যপাল, তৃণমূল নেতার সঙ্গে দিলেন অঞ্জলিও

অষ্টমীর বিকালে নন্দীগ্রামে পুরোহিত ও নাপিত সম্প্রদায়ের হাতে সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদান করেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুখিয়া স্ট্রিটের রামমোহন সম্মিলনীতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসের যাওয়া নিয়ে শুভেন্দু আপত্তি জানান। তিনি বলেন, ‘উনি ব্যক্তিগতভাবে যেতেই পারেন। কিন্তু, ওঁর একটা পদমর্যাদা রয়েছে। সেটা ভাবা উচিত ছিল।’ শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, রাজ্যপাল তাঁর কাছে পরামর্শ চাইলে তিনি বেলুড় মঠে গিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিতে বলতেন। কিন্তু, রাজ্যপাল যেখানে গিয়েছেন সেখানে সারদার টাকা জলে গিয়েছে। তাই ওখানে রাজ্যপালের যাওয়া ঠিক হয়নি বলে জানান শুভেন্দু। এদিন শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্য করার পাশাপাশি বিশ্বকর্মা যোজনায় বিভিন্ন সুবিধার কথা মানুষের সামনে তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, রাজ্যপালকে নিয়ে এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি রাজ্যপালকে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে এদিন সকালে রামমোহন রামমোহন সম্মিলনীতে রাজ্যপাল গেলে তাঁকে স্বাগত জানান কুণাল ঘোষ। এদিন ধুতি-পাঞ্জাবি পরে মণ্ডপে যান রাজ্যপাল। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করেন কুণাল। রাজ্যপাল কুণাল এবং ক্লাবের পদাধিকারীদের হাতে উপহার তুলে দেন। পরে তিনি কণাল ঘোষকে পাশে নিয়ে অষ্টমীর অঞ্জলি দেন। এরপর তিনি রাজ্যপালকে মণ্ডপ ঘুরে দেখান। এর পাশাপাশি মণ্ডপে কী থিম রয়েছে? সে সম্পর্কেও রাজ্যপালকে বিস্তারিত জানান কুণাল ঘোষ।  রাজ্যপালও কুণাল ঘোষের কথা মন দিয়ে শোনেন।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনৈতিক মতাদর্শগত বৈষম্য রয়েছে একে অপরের মধ্য। তা থাকতেই পারে।’ যদিও এদিন পুজোতে গিয়েও দুর্নীতিকে নির্মূল করার কথা বলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনেও আমরা দুর্নীতিকে বিনষ্ট করব।’