লাঠির আঘাত এলে অবশ্যই লাঠি কেড়ে নিয়ে পেটাতে হবে: জয়নুল আবেদীন

যখন দেয়ালে আমার পিঠ ঠেকেছে, লাঠির আঘাত আমার মাথায় এলে অবশ্যই সেই লাঠি কেড়ে নিয়ে তাকে পেটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস এবং বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা (বিএনপি) এখন কৌশলী হয়েছি। বিএনপির ভাইয়েরা কৌশল গ্রহণ করেন। কারও বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশোধ নেওয়ার দরকার নেই। যখন দেয়ালে আমার পিঠ ঠেকেছে, লাঠির আঘাত আমার মাথায় এলে অবশ্যই সেই লাঠি কেড়ে নিয়ে তাকে পেটাতে হবে।

তবে ২৮ তারিখ কিছুই হবে না, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বলতে চাই, আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা কথা বন্ধ করুন। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে দিন। আমরা আমাদের কথাগুলো মানুষকে বলি। যতই বাধা দেবেন, ততই জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়বে।

তিনি বলেন, আমরা ১৭ জন সহকর্মী হারিয়েছি। ২৮ তারিখ দরকার হলে আরও ১৭ হাজার জীবন দেবো। তবুও আপনাদের ক্ষমতায় থাকতে দেবো না। তারেক রহমান বলেছেন, তিনি এই দেশে আর মৃত ভোট দেখতে চান না। আগামী ২৮ তারিখ মহাযাত্রা শুরু হবে, সেই যাত্রায় এই স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে।

সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, মানুষকে ভালোবাসলে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। প্রতিদিন স্কুল-কলেজ, মহাসড়ক উদ্বোধন করেন। গরিবের ট্যাক্সের হাজার হাজার টাকা খরচ করেন। নির্বাচনকে ভয় পান কেন? একটা নির্বাচন দিয়ে দেন না। পুলিশ দিয়ে আবার ক্ষমতায় যাবেন এবার আর হবে না। ২৮ তারিখ এই সরকারের বিরুদ্ধে ফয়সালা হবে। গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে নেতাকর্মীদের ২৮ তারিখ সমাবেশে আসতে বাধা দিতে পারবেন না। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতউল্লাহ, মৎসজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আদাবর থানা বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল নির্বাহী কমিটি সদস্য হারুনর রশীদ প্রমুখ।