Cyclone Hamoon Update: দশমীতেই দফারফা হল দুর্যোগাসুর, হামুনের প্রভাবে আর নেই নাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

শুষ্ক পশ্চিমি হাওয়ার দাপটে কাটল ফাঁড়া। মাটি হতে হতে বাঁচল দুর্গাপুজোর শেষ বেলার আনন্দ। কারণ ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে আর নাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে থাকা জলীয় বাস্প থেকে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর সকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে হামুন বঙ্গোপসাগরের ওপর ভারতের জলসীমা থেকে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তবে শুষ্ক পশ্চিমি হাওয়ার তীব্রতা বেশি থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের পশ্চিম দিকে তেমন কোনও প্রভাব নেই বললেই চলে। যার জেরে বৃষ্টি থেকে রেহাই পেল দক্ষিণবঙ্গ।

বুধবার বিকেল ৪টেয় পদ্মার মোহনা দিয়ে বাংলাদেশের ভূভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় হামুন। তবে তার আগে ব্যাপক শক্তিক্ষয় হবে ঝড়টির।

এই ঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের কোথাও আর নাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে থাকা জলীয় বাস্পের জেরে কিছু জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারের ফলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।

ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সম্পূর্ণরূপে কাটতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের ওপর থেকে। রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় মেঘাচ্ছন্নতা কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তরপূর্বের ৩ রাজ্য ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুরে ব্যাপক বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির জেরে এই ৩ রাজ্যের পার্বত্য এলাকায় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে অসমের বরাক উপত্যকায়।