UPA–এর তুলনায় মোদী সরকার কৃষকদের জন্য বরাদ্দ ৫ গুণ বাড়িয়েছে, দাবি অমিত শাহের

দেশের কৃষকদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার বাজেটে ৫ গুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। তাঁর কটাক্ষ, দীর্ঘদিন ধরে এদেশের কৃষকরা অবহেলিত হয়েছেন। তবে কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে বর্তমান সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে। মঙ্গলবার গুজরাটে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন অমিত শাহ।

আরও পড়ুন: নকশালদের মুছে ফেলতে সাহায্য করুন সরকারকে, আদিবাসী যুবক-যুবতীদের বার্তা শাহের

এদিন গান্ধীনগরে ভারতের প্রথম তরল ন্যানো ডাই-অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) প্ল্যান্টের  উদ্বোধন করেন অমিত শাহ। এরপর গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রে কৃষক ও জনগণের একটি সমাবেশে যোগ দেন তিনি। সেখানেই এই দাবি করেন অমিত শাহ। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগের সরকারকে কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ৬০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ জমি কৃষিকাজের উপযোগী। তবে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে কৃষক ও কৃষিকাজ অবহেলিত হয়ে আসছে।’ 

এরপরেই তিনি ইউপিএ সরকারের আমলে কৃষকদের জন্য বাজেটে বরাদ্দের সঙ্গে বর্তমান সরকারের বাজেটে বরাদ্দের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে ২০১৩–১৪ সালে কৃষকদের জন্য বাজেট ছিল ২২,০০০ কোটি টাকা। বর্তমান নরেন্দ্র মোদীর সরকার ২০২৩–২৪ সালের জন্য কৃষকদের জন্য ১,২২,০০০ কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করেছেন। তখন মাত্র ৭ লক্ষ কৃষককে কৃষি ঋণ দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩–২৪ সালে ১৯ লক্ষ কৃষক ইতিমধ্যেই কৃষি ঋণ পেয়েছেন।’

এর পাশাপাশি বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদনে বেড়েছে বলে দাবি করেছেন অমিত শাহ। তিনি জানান ২০১৩-১৪ সালে খাদ্যশস্যের উৎপাদন হয়েছিল ৩২.৩০ কোটি টন। সেখানে ২০২৩–২৪ সালে উৎপাদন বেড়ে দ্বিগুনেরও বেশি হয়েছে। যা হল ৬৬.৫০ টন। এছাড়া ২০১৩-১৪ সালের তুলনায় ২০২৩–২৪ সালে চাল, গম এবং বাজারের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ৬৮ শতাংশ ৬২.৫ শতাংশ এবং ৬৮ শতাংশ বেড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। 

এদিন তিনি কৃষকদের সার ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানান, সার খুব কমই ব্যবহার করা উচিত। তবে যতক্ষণ না কোনও বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় না ততক্ষণ এর ওপর নির্ভরতা রয়ে যায়।এ প্রসঙ্গে তিনি জানান আগের সরকার সারের উপর ভর্তুকি বাবদ ৭৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করত। তবে বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৫৫ লক্ষ কোটি । তিনি জানান, ইফকোর ন্যানো ডিএপি সারে কৃষকরা খুবই উপকৃত হবেন।