কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে হতেই এবার পুলিশ অ্যারেস্ট করে ফেলল। সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে শ্রীঘরে ঢুকতে হল। নেপথ্যে তাঁর হার্টের সমস্যা থুড়ি হার্টের সমস্যার অভিনয়। নিয়মিত বিভিন্ন রেস্তরাঁয় খাবার খেতে পছন্দ করেন ওই ব্যক্তি। তবে খাবারদাবার খাওয়ার পর হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায় তাঁর। এর পর রেস্তরাঁ ম্যানেজারের তৎপরতায় সোজা হাসপাতাল নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। এমনটা একবার নয়, রেস্তরাঁয় খেতে গেলে প্রায়ই ঘটে। তালেগোলে আর রেস্তরাঁয় খাওয়ার খরচ দিতে হয় না ওই ব্যক্তি। বলা ভালো, রেস্তরাঁই আর ভয়ে খাবারের দাম চাইতে পারে না। সম্প্রতি এই ঘটনাই বারবার ঘটছিল স্পেনের অ্যালিক্যান্টে এলাকায়।
আরও পড়ুন: বছরে ৩০০ পুরুষের সঙ্গে সহবাস! নয়া রেকর্ড গড়লেন এই অজি ‘কন্টেন্ট ক্রিয়েটার’
অবশেষে ঘটনাটি পুলিশের নজরে এল। পুলিশও আইদাস জে নামক ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর করতে শুরু করেন। কখন কখন তার অমন বুকে ব্যথা ওঠে, সেই ব্যাপারেই শুরু হয় তল্লাশি। অবশেষে অ্যালিক্যান্টের আরেকটি রেস্তরাঁয় তাঁর হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। তখন আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। সরাসরি ওই ব্যক্তিকে শ্রীঘরে নিয়ে স্বাস্থ্যের দেখভাল করা শুরু হয়। আপাতত সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ৪২ দিন তিনি সেখানেই থাকবেন। প্রসঙ্গত, শেষবার তাঁকে ধরার সময় নাকি ২০ নম্বর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এক বছরেই এতগুলি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন: বাচ্চারাও ঘামে, তাদের গায়ে কেন দুর্গন্ধ হয় না? আসল কারণ হয়তো অনেকেরই অজানা
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি নিজের স্পেনের বিভিন্ন রেস্তরাঁয় নিয়মিত খেতে যেতেন। কিন্তু খেতে গিয়ে বিল মেটানোর সময় হঠাৎঅই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেত তাঁর। এই হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে একাধিক রেস্তরাঁ থেকে পুলিশের কাছে খবর যেতে শুরু করে। অবশেষে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে ওই ব্যক্তির দেখভাল করতে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের বাগে আসে ওই ব্যক্তি। শেষ বার আইদাস গিয়েছিলেন এল বুয়েন কর্ণার নামের একটি রেস্তরাঁয়। সেখানে সামুদ্রিক খাবার পায়েলা ও দুটি হুইস্কি অর্ডার করেন তিনি। খাওয়াদাওয়ার পর মোট বিল ৩৭ ডলার। এই টাকা মেটাতেই নাকি ওই ব্যক্তি রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে যাচ্ছিলেন। তবে রেস্তরাঁ কর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলে যেতে বাধা দেয়। সেই মুহূর্তেই সঙ্গে সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক। তবে রেস্তরাঁ কর্মীরা এবার আর ভুল করেননি। অ্যাম্বুলেন্স না ডেকে সরাসরি পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশই বাকি চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।