মহাখালীর খাজা টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানী মহাখালীর আমতলীর খাজা টাওয়ারের আগুন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স-এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে মহাখালী আমতলীর খাজা টাওয়ারে সেফটি প্ল্যান ছিল না। তবে বিভিন্ন ফ্লোরে কিছু ফায়ার অ্যাসটিংগুইশার পেয়েছি, সেগুলো কাজ করছিল। কিন্তু দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন প্রতিটি ফ্লোরে তল্লাশির কাজ চলছে।’

বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর বিষয় তদারকি করতে এসে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক।

এ সময় মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা ডি টি এল মেশিনের মাধ্যমে ভেতর থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের জানামতে এই ভবনের ভেতর আর কেউ নেই। তারপরও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রতিটি ফ্লোর সার্চ করছে। সার্চ করার কারণ হলো, একজন নিখোঁজের খবর আমাদের কাছে আছে। আমরা দেখছি তিনি আছেন কিনা।  প্রতিটি ফ্লোর সার্চ করব এবং অগ্নি নির্বাপণ করবো।’

তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে আরও সময় লাগবে। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খবর পাচ্ছি– নিহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে, এ বিষয়টি এখনও আমার জানা নেই। আমরা ভবনটি সার্চ করবো।  এরপর পুলিশের হাতে হ্যান্ডওভার করবো। পরবর্তীতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অফিসের লোকজন অন্যান্য কাজ শুরু করতে পারবেন। আমার কাজ হলো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনে ভবনটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা।’

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ৫৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাত ৯টার পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটকে।

১৪ তলার ভবনটির ১৩ তলায় আগুন লাগে। আতঙ্কে বাঁচাতে ভবনের পাশে ঝুলে থাকা ইন্টারনেটের তার বেয়ে নামতে গিয়ে হাসনাহেনা নামে ভবনের এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারীর মৃত্যু হয়। তীব্র হওয়ার কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আটজনকে আটকে থাকা অবস্থায় নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।