Cash for Query Case: ‘অভিষেক-বালু-ববি-রথীন’ নিয়ে সরব হলেও কেন মহুয়া প্রসঙ্গে নীরব রইলেন মমতা?

সাত সকালে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে। বিকেলে কালীঘাটের বাড়ি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ইডি হানার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁর ক্যাবিনেটের মন্ত্রী তাই তিনি যে সরব হবেন এটাই স্বাভাবিক। একই সঙ্গে নিন্দা করেছেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার ইডির তলব নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সরব হয়েছেন মমতা। কিন্তু দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি। বক্তব্যে মহুয়াকে এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেছেন, কেন মহুয়া প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন মুখমন্ত্রী।

সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর এই ইস্যুতে দলের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন. ‘এ নিয়ে দলের কোনও বক্তব্য নেই। এটাই তৃণমূলের অবস্থান।’ অন্যদিকে দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন  জানান, ‘এথিক্স কমিটি মহুয়া প্রসঙ্গে তাঁদের মত জানালে তারপরই দল এ নিয়ে তার অবস্থান জানাবে।’ মমতা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দলের সেই অবস্থানই বজায় রেখেছেন।

আজই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে প্রথম বৈঠকে বসেছিল সংসদের এথিক্স কমিটি। সেই কমিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মহুয়া মৈত্রকে তলব করেছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে মহুয়া মৈত্র নিয়ে কিছু বলতে চাননি মমতা। তাই এড়িয়ে গিয়েছেন মহুয়ার নাম।

তাছাড়া ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি এবং বিজেপি। কিন্তু মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ইডি-সিবিআই তদন্ত করছে না। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে এথিক্স কমিটি। তৃণমূল সাংসদ আদালতে মানহানির মামলাও করেছেন। তাই এ নিয়ে মন্তব্য করে আর জটিলতা বাড়াতে চাননি মমতা।

বৃহস্পতিবার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানা নিয়ে মমতা বলেন, ‘সুলতান আহমেদ মারা গেলেন। আমাদের এমপি ছিলেন। সিবিআইয়ের চিঠি পাওয়ার পরে ওয়াশরুমে গেলেন আর মারা গেলেন। প্রসূন মুখোপাধ্য়ায়ের স্ত্রীও একই ভাবে মারা গেলেন। হিউম্যান টর্চার। প্রাইভেট পার্টে এত টর্চার করে…বলে ওর নাম বলো। যতক্ষণ নাম না বলবে ততক্ষণ অত্যাচার চলবে। কেয়া অত্যাচার, কেয়া অনাচার চল রহা হ্যায়। আমরা দেবতার পুজো করি। সমস্ত দেবতাকে পুজো করি। শ্রদ্ধা করি। দেশের স্বাধীনতার লড়াই দেখুন। সেলুলার জেল দেখে আসুন। সবথেকে বেশি নাম বাঙালির। তারপর পঞ্জাবের। আর আমরা কি স্বাধীন?’

(পড়ুন: কেয়া অত্যাচার! অভিষেকের জন্মের আগের নথি চাইছে, জ্য়োতিপ্রিয় যদি মারা যায়… ফুঁসছেন মমতা)

তবে বিজেপি অবশ্য মহুয়া প্রসঙ্গে এই দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে।