Government School: কোন সরকারি স্কুলের মান কেমন? ভালো না খারাপ! যাচাই করবে শিক্ষাদফতর

কোন স্কুল ভালো, কোন স্কুল পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়, তা নিয়ে এবার সমীক্ষা চালাবে শিক্ষা দফতর। তবে এটা শুধু সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রেই হবে। তবে এই ভালো খারাপের বিষয়টির পেছনে একাধিক মাপকাঠি থাকবে। মানে কোথায় পড়াশোনা ভালো করে হয়, কোথায় পরিকাঠামো ঠিক ঠাক নেই। এসবও যাচাই করে দেখা হবে। তবে এই ভাবে ভালো খারাপের মূল্যায়নের একদিকে যেমন ভালো দিক আছে, তেমনি খারাপ দিকও আছে। খারাপ স্কুল বলে কোনও স্কুলকে উল্লেখ করা হলে সেই স্কুলের প্রতি সাধারণ অভিভাবকদের আগ্রহ কমতে পারে।

তবে এর ভালো দিক হল স্কুলগুলির মূল্যায়ন করা হলে সেগুলিকে ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়াটা অনেকটা সুবিধার হবে।

মূলত পঠন পাঠন কেমন হচ্ছে স্কুলে, পড়ুয়ারা কেমন রেজাল্ট করছে, স্কুলের সার্বিক পরিকাঠামো কেমন রয়েছে, উপস্থিতির হার কেমন এসব খতিয়ে দেখা হবে। এনিয়ে নির্দিষ্ট সূচক রয়েছে। সেই সূচক অনুসারে কার্যত পরীক্ষায় বসতে হবে স্কুলকেই। সেই পরীক্ষার রেজাল্ট অনুসারে স্কুলের গ্রেড দেওয়া হবে।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যের একাধিক সরকারি স্কুল রয়েছে যেখানে পড়াশোনা কার্যত লাটে উঠেছে। সরকারি স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করার প্রবণতা বেড়েছে। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের মতে এভাবে গ্রেড ঠিক করা হলে একটা স্বাস্থ্য সম্মত প্রতিযোগিতা হবে। এর জেরে নীচের দিকে থাকা স্কুলগুলি চেষ্টা করবে তারা যাতে উপরের দিকে উঠতে পারে।

তবে এর আবার খারাপ দিকও রয়েছে। যেখানে কোনও স্কুলকে খারাপ স্কুল বলে বা নিম্নমানের স্কুল বলে দাগিয়ে দেওয়া হলে সেখানকার পড়ুয়াদের মধ্য়ে হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে ভালো স্কুলে সন্তানদের পড়ানোর জন্য অভিভাবকদের মধ্যে আগ্রহ দেখা দেবে। এতে তথাকথিত খারাপ স্কুলগুলির মান আরও নামতে পারে। পড়ুয়াদের ধরে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দাঁড়াবে সেই স্কুলগুলির উপর। তাছাড়া প্রান্তিক এলাকায় থাকা স্কুলগুলির নানা সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই মূল্যায়ন কতটা বিজ্ঞানসম্মত ও যথাযথ হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।