MHA to review more pre-Independence acts: CrPC, IPC-র পর এবার ব্রিটিশ জমানার একাধিক আইন বদলের ভাবনা শাহের মন্ত্রকের

গত বাদল অধিবেশনেই ব্রিটিশ জমানার সিআরপিসির বদলে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ কার্যকর করার জন্য সংসদে বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সবরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগের আইপিসি, সিআরপিসি এবং তথ্যপ্রমাণ আইনের বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কার্যকর করা হবে দেশে। তার জন্যই বিল আনা হয় সংসদে। সেই বিল নিয়ে আপাতত আলোচনা চলছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। এরই মাঝে জানা গেল, ব্রিটিশ জমানার আরও একাধিক আইন বদলের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাসপোর্ট আইন, ১৯২০; বিদেশিদের নিবন্ধন আইন, ১৯৩৯; বিদেশি আইন, ১৯৪৬; অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩; দিল্লি আইন, ১৯১৫; এবং বিষ আইন, ১৯১৯-এর পর্যালোচনা করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা এই আইনগুলি বদল বা প্রত্যাহার করতে একটি পর্যালোচনা বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

এর আগে আইপিসি, সিআরপিসি এবং ভারতীয় এভিডেন্স অ্যাক্ট তুলে দিয়ে নয়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কার্যকর করতে বিল পেশ করা হয়েছিল সংসদে। তিনটি বিলের মাধ্যমে মোট ৩১৩টি পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়। এই বিল তিনটি পাশ হলে দেশের আইন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। সেই ন্যায় সংহিতাকে আপাতত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে আলোচনার জন্য। এই আবহে সংসদীয় কমিটি প্রস্তাব দিল, নয়া বিলে যেন পরকীয়া, সম্মতিহীন সমকামী যৌনতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার বিধান রাখা হয়। প্যানেলের তরফে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হলে তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে।

সংসদীয় প্যানেলের প্রস্তাব, পুরুষ বা স্ত্রী, যেই পরকীয়া করুক না কেন, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য ন্যায় সংহিতায় বিধান যুক্ত করা উচিত। এদিকে কোনও পুরুষের অসম্মতিতে যদি কোনও পুরুষ তাকে যৌন হেনস্থা করে, বা কোনও নারীর অস্মতিতে কোনও নারী জোর করে তাহলে সেটিকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেছে কমিটি। এমনকী রূপান্তরকামীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কেউ তাঁর ওপর যৌন হেনস্থা করলে তাও এই বিধানে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে কমিটির তরফে আরও সুপারিশ করা হয়েছে, আর্থিক জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার সময় হাতকড়া না পরানো হয়। উল্লেখ্য, এই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান হলেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজ লাল। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তকে আটক করা নিয়ে পুলিশকে যে অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সংহিতায়, তা সংশোধন করে স্পষ্ট ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির সুপারিশও করবে এই কমিটি।