Stone Pelting at Durga Idol: দুর্গা বিসর্জনের সময় পাথর ছোড়ার অভিযোগ বীরভূমে, ‘তোষণের রাজনীতি’, তোপ সুকান্তর

বাঙালিদের শ্রেষ্ট উৎসব দুর্গাপুজো। সেই দুর্গাপুজো নিয়েও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। অভিযোগ, বীরভূমের মুরারইতে দেবীর প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রা বের হলে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পাথর ছুড়তে শুরু করে। সেই সময় পুলিশও ছিল ঘটনাস্থলে। পাথর ছোড়া আটকাতে পুলিশ চেষ্টাও করে। তবে তাতেও নাকি থামানো যায়নি পাথর ছোড়ার ঘটনা। এই আবহে ‘তোষণের রাজনীতি’র অভিযোগ তুলে ঘাসফুল শিবিরকে তোপ দেগেছেন সুকান্ত।

নিজের পোস্টে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এভাবেই তোষণের রাজনীতি ছড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এর ফলে বাঙালি হিন্দুদের আস্থা ও রীতির ওপর পাথর ছোড়া হচ্ছে। অসাম্প্রদায়িকতার অর্থ সব ধর্মের প্রতি সহনশীলতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা। তবে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিতে বুঁদ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এই বিষয়টা অজানা।’ এদিকে সুকান্তর পোস্ট করা ভিডিয়োতে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, অন্য সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা অপরদিক থেকে নাকি প্রতিমা লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে। পুলিশ সেখানে চেষ্টা করেও হামলা থামাতে পারছে না। প্রবছরই নাকি সেই এলাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া মানুষদের ওপরও নাকি চড়াও হয় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ। এদিকে ভিডিয়োর দ্বিতীয় অংশে দেখা যায়, একটা সংকীর্ণ গলিতে প্রচুর মানুষ পাথর ছুড়ছে। এদিকে পুলিশ তাদের আটকানোর চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে রামনবমীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্যের একাধিক জায়গা। হাওড়া, হুগলি সহ বহু জায়গায় হিংসা ছড়িয়েছিল। পরে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে যাতে নতুন করে হিংসা না ছড়ায়, তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এই আবহে রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনীতিও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তবে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো নিয়েও এবার অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ তুলে সরব হল বিজেপি। এই আবহে রাজ্য প্রশাসন ব্যর্থ বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এদিকে সুকান্তর পোস্ট করা ভিডিয়োতেই দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ঠিক কেন এবং কীসের থেকে মুরারাইতে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা স্পষ্ট হয়নি এখনও।