US Mass Shooting: ২৬/১১-র আতঙ্ক আমেরিকায়, বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ২২, জখম ৬০, এখনও অধরা হামলাকারী

আমেরিকার মেইন প্রদেশের ছোট্ট শহর লেউইস্টনে ফিরল মুম্বইয়ের ২৬/১১ হামলার আতঙ্কের স্মৃতি। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসের সেই রাতে যেভাবে মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় আজমল কসাবরা এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ মেরেছিল, কতকটা তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল আমেরিকার লেউইস্টনে। এমনিতে আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলা নতুন কিছু নয়। তবে অভিযুক্ত বন্দুকবাজের যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তা কসাবকে মনে করিয়ে দিতে বাধ্য। এদিকে জানা গিয়েছে, এই হামলায় এখনও পর্যন্ত অন্তত পক্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন জখম হয়েছেন। আর সবথেকে বড় কথা, এখনও অভিযুক্ত বন্দুকবাজ অধরা।

আমেরিকার উত্তরপূর্ব উপকূলে অবস্থিত মেইন প্রদেশের ছোট্ট শহর লেউইস্টনে বসবাস করেন মাত্র ৩৮ হাজার মানুষ। পোর্টল্যান্ড শহর থেকে লেউইস্টন বেশ কাছেই অবস্থিত। সেই শহরেরই একাধিক জায়গায় বন্দুকবাজ হামলা চালায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি স্থানীয় পানশালা, বোলিং অ্যালি এবং ওয়ালমার্টে হামলা চালানো হয়। এদিকে সংবাদসংস্থা এপি-কে স্থানীয় দুই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, হামলার জেরে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত এবং জখমদের উদ্ধার করছে পুলিশ। জখম ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেমিঅটোমেটিক রাইফেল নিয়ে এক ব্যক্তি এই হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীর পরনে বাদামি রঙের শার্ট এবং কালো প্যান্ট। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বন্দুকবাজকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই আবহে সেই এলাকার সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এদিকে মানুষজনকে নিজেদের বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় একসঙ্গে এই হামলার তদন্তে নেমেছ পুলিশ। সংগ্রহ করা হচ্ছে প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। হোয়াইট হাউজ ঘটনার গতিপ্রকৃতির ওপর নজর রেখে চলেছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনও এক বন্দুকবাজের হামলায় অন্তত ৪ জন হাতহত হয়েছেন, এমন ঘটনা ক্রমেই বেড়েছে আমেরিকায়। ২০২২ সালেই এই ধরনের হামলার সংখ্যা ছিল ৬৪৭। ২০২২ সালের মে মাসে একটি স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার পর এটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এই পরিস্থিতিতে বন্দুকবাজের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ। হামলার উদ্দেশ্য নিয়েও এখনও ধন্দ রয়েছে